হাঙরের মুখ থেকে রক্ষা! ছবি: টুইটার
সবেমাত্র জলে নামতে গিয়েছিলেন তরুণী, হঠাৎ সেখান থেকেই মাথা তুলল বিশাল হাঙর। এক চুলের তফাত। আর একটু হলেই হাঙরের শিকার হতেন তিনি। ভয়াবহ সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হল সমাজমাধ্যমে। যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
জানা গিয়েছে, ভিডিয়োয় যে তরুণী জলে নামতে গিয়েছিলেন তিনি এক জন সমুদ্রবিজ্ঞানী। নাম মিস র্যামসে। হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের কাছে সমুদ্রে বড়সড় অঘটনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন তিনি।
ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, সমুদ্রের উপযোগী পোশাক পরে বোট থেকে জলে নামার তোড়জোড় করছিলেন তরুণী। তাঁর পায়ে বিশেষ চটি পরা ছিল। বোটের সিঁড়ি বেয়ে কয়েক ধাপ নেমেও গিয়েছিলেন। জলে পা রাখার ঠিক আগে এক বার মুখ ঝুঁকিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন সমুদ্রের তলদেশ। আর ঠিক তখনই তিনি দেখতে পান, প্রায় স্বচ্ছ জলরাশি ভেদ করে তাঁর দিকে এগিয়ে আসছে হাঙর।
সঙ্গে সঙ্গে সিঁড়ি বেয়ে বোটে উঠে পড়েন র্যামসে। তাঁর দিকে ধেয়ে আসে হাঙরটি। জলের উপরে মাথাও তোলে। র্যামসের বিশেষ ধরনের চটির নাগাল পাওয়ার চেষ্টা করে হাঙরটি। তবে তা সে ধরতে পারেনি।
ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, গোটা বিষয়টি হালকা ভাবেই নিয়েছেন তরুণী। সমুদ্র এবং সামুদ্রিক প্রাণীদের নিয়েই তাঁর গবেষণা। তাই হাঙর তিনি ভয় পান না। বরং হাঙরটি চলে যাওয়ার পর আবার তাঁকে জলে নামার তোড়জোড় করতে দেখা গিয়েছে। যে হাঙরটি র্যামসেকে তাড়া করেছিল, সে সমুদ্রের ওই নির্দিষ্ট এলাকায় পরিচিত। র্যামসে এবং তাঁর সঙ্গীরা হাঙরটির নাম দিয়েছেন কুইন নিক্কি।
র্যামসে পরে জানিয়েছেন, সমুদ্রে ভাসতে থাকা কিছু প্লাস্টিকে হাঙরটির সমস্যা হচ্ছিল। তা দেখে তিনি প্লাস্টিক সরিয়ে দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু উল্টে তাঁর দিকেই তেড়ে আসছিল হাঙর। তবে ‘নিক্কি’র সঙ্গে এর আগেও বেশ কয়েক বার সাক্ষাৎ হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যামসে। কখনওই ওই হাঙর তাঁকে আক্রমণ করেনি।
ভাইরাল ভিডিয়োটি নিয়ে সমাজমাধ্যমে চর্চা চলছে। অনেকেই হাঙরের আচরণ এবং তরুণীর পরিণতি কল্পনা করে আতঙ্কিত হয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy