আর ‘খচ্চর’ বলবেন? ছবি- সংগৃহীত
পবিত্র কেদারনাথ গুহার উদ্দেশে যাত্রা শুরু হতেই উপচে পড়েছে তীর্থযাত্রীদের ঢল। দুর্গম এই পথ পায়ে হেঁটে অতিক্রম করে বরফাবৃত কেদারনাথের কাছে পৌঁছলে, তবেই পুণ্য অর্জন করা যায় বলে বিশ্বাস তীর্থযাত্রীদের। তবে এই পুণ্য করতে গিয়ে অনেক সময়ই তীর্থযাত্রীরা অর্ধেক রাস্তা থেকে পালকি বা ডুলি, খচ্চরের পিঠে চেপে বাকি পথটুকু অতিক্রম করেন। কেউ আবার যান হেলিকপ্টারে। কিন্তু কেদারনাথের সবচেয়ে কাছাকাছি পৌঁছতে পারে চারপেয়ে খচ্চর। তাই অনেকেই এই বাহনটিকেই বেছে নেন।
সরকারি সূত্রের খবর, এ বছর যাত্রার শুরুতেই যাত্রিবাহী এই খচ্চরগুলি ১০১ কোটি টাকারও বেশি আয় করেছে। যেখানে হেলিকপ্টার থেকে আয় হয়েছে মাত্র ৭৫-৮০ কোটি টাকা। ১৫ লক্ষ যাত্রীর জন্য প্রায় ৫ লক্ষেরও বেশি খচ্চর যাত্রী বহনের কাজে নিযুক্ত রয়েছে।
অন্য দিকে, পালকি বা ডুলি থেকে প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ ৮৬ লক্ষ। হেলিকপ্টার, খচ্চর এবং পালকি, এই তিন বাহন মিলিয়ে এ বছর মোট আয়ের পরিমাণ ১৯০ কোটি টাকার উপর।
রাজ্যে সরকারী ভাবে প্রায় ৪,৩০২ জন মালিকের তত্ত্বাবধানে ৮৬৬৪টি খচ্চর নথিভুক্ত করা আছে। অন্য দিকে, কেদারনাথে তীর্থযাত্রীদের নিয়ে যাওয়া এবং আসার জন্য ৯টি চপার এই মুহূর্তে কাজ করছে।
১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এই যাত্রা পথেই পড়ে যমুনোত্রী। বৃহস্পতিবার থেকে তা তীর্থ যাত্রীদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তার পরও ২২ কোটি টাকা আয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই যাত্রিবাহী খচ্চরের মালিকরা।
মোট প্রাপ্ত মূল্য থেকে ৮ কোটি টাকা চলে যায় সরকারের ঘরে।যমুনোত্রী পর্যন্ত হেলিকপ্টার পৌঁছনোর সুবিধা না থাকায় ‘খচ্চর’ মালিকদের শাপে বর হয়েছে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামি বলেছেন, “বার্ষিক এই তীর্থযাত্রার উপর যাঁদের জীবন নির্ভর করে, বিগত দু’বছর তাঁরা খুবই কষ্টের মধ্যে ছিলেন। ইতিমধ্যেই রেকর্ড সংখ্যক তীর্থযাত্রী কেদারনাথের উদ্দেশে যাত্রা করায়, এই বছর তাঁরাও লাভের মুখ দেখছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy