সাপ গলায় স্টান্ট কিশোরীর। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে।
কুচকুচে কালো পেল্লায় সাপ গলায় জড়িয়ে খেলছে এক কিশোরী! মাঝেমধ্যেই খিলখিলিয়ে হেসে উঠছে সে। এ বার সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ল সেই ভিডিয়ো। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ক্লিপটি দেখে ফেলেন পাঁচ লক্ষের বেশি ব্যবহারকারী। তবে এই নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করতে ছাড়েননি নেটাগরিকদের একাংশ। (ভাইরাল ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।)
সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে ‘@স্নেকমাস্টারএক্সোটিক্স’ নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে এই ক্লিপটি পোস্ট করা হয়। ভিডিয়োতে এক কিশোরীকে অতিকায় সাপ কাঁধে তুলে খেলতে দেখা গিয়েছে। সরীসৃপটি অবশ্য তাঁর কোনও ক্ষতি করেনি। উল্টে এক রকম শান্তই ছিল পা-বিহীন ওই উভচর।
কিন্তু, ভিডিয়োটি দেখার পর মোটেই চুপ করে থাকেননি নেটাগরিকরা। ওই কিশোরীর মা-বাবার কড়া সমালোচনা করেছেন তাঁরা। কী ভাবে মেয়েকে সাপ নিয়ে বিপজ্জনক খেলার অনুমতি তাঁরা দিলেন, তাই নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। পাশাপাশি, ওই সময়ে রিল বানানো নিয়েও সমাজমাধ্যমে দু’কথা শুনিয়েছেন নেটাগরিকেরা।
ইনস্টাগ্রামে পোস্ট হওয়া রিলটির নীচের মন্তব্যবাক্সে এক জন লিখেছেন, ‘‘সাপটা কয়েক সেকেন্ডে কিশোরের শ্বাসরোধ করতে পারে। এটা একটা বেপরোয়া পদক্ষেপ!’’ আর এক জন ব্যবহারকারী বলেছেন, ‘‘কারওর এই মুহূর্তে শিশু প্রতিরক্ষা পরিষেবায় খবর দেওয়া উচিত। এটা মোটেই নিরাপদ নয়।’’
সমাজমাধ্যমে খ্যাতি পাওয়ার জন্য বিপজ্জনক বা ঝুঁকিপূর্ণ রিলে অনেকেই শিশুদের ব্যবহার করছেন। এই প্রবণতা বাড়ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নেটাগরিকদের একাংশ। তাঁদের কথায়, ‘‘অনেকে শুধু দর্শকসংখ্যার কথা ভাবছেন। তাঁদের কাছে শিশুদের নিরাপত্তার বিষয়টি তুচ্ছ। কিন্তু এটা খুবই ভীতিকর।’’
সাপ-কিশোরীর ভাইরাল ভিডিয়োটির সমালোচনা বেশি হলেও কেউ কেউ আবার মেয়েটির সাহসের প্রশংসা করেছেন। তাঁদেরই এক জন লিখেছেন, ‘‘ওর সাহস দেখে মুগ্ধ হয়েছি।’’ তবে বার বারই ঘুরেফিরে এসেছে কিশোরীর মা-বাবার ভূমিকা। তাঁরা কী ভাবে এই ঝুঁকিপূর্ণ স্টান্টের অনুমতি দিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy