বিয়ে নিয়ে যেমন যুগলের স্বপ্ন থাকে, তেমনই মধুচন্দ্রিমা নিয়েও কম পরিকল্পনা থাকে না। বিয়ের পর প্রথম বার একসঙ্গে বিশেষ মানুষটির সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া। এই পর্ব তো নিছক বেড়ানো নয়, এর সঙ্গে জুড়ে যায় মানুষটিকে আরও ভাল করে জেনে, বুঝে নেওয়ার পর্বও। বলা চলে, নতুন জীবন শুরুর আগে সম্পর্কের বন্ধন আরও নিবিড় করে তোলার সুযোগ মেলে মধুচন্দ্রিমাতেই। বিয়ের পর অনেক দম্পতিই তাঁদের হানিমুনের জন্য গোয়া, বালি, কেরল বা ভিয়েতনামের মতো জনপ্রিয় গন্তব্যে ভ্রমণ করেন। কেউ কেউ তাঁদের সেই পর্ব গোপন রাখতে পছন্দ করেন। কেউ আবার সমাজমাধ্যমে মধুচন্দ্রিমার ছবি এবং ভি়ডিয়ো পোস্ট করে আনন্দ পান। কিন্তু এ বার সেই মধুচন্দ্রিমার ভিডিয়ো পোস্ট করেই বিতর্কে জড়িয়েছেন এক সদ্যবিবাহিতা তরুণী। নেটপাড়ায় ‘মিথ্যাবাদী’ তকমা পেয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন:
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুয়ায়ী, ওই তরুণীর নাম প্রিয়া তিওয়ারি। সদ্য বিয়ে হয়েছে তাঁর। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন প্রিয়া। তবে ঘুরতে যাওয়ার একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে পোস্ট করার পরেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয় ভিডিয়োটি। কিন্তু কেন? মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে সমুদ্রের ধারে রিল বানানোর একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন প্রিয়া। সেই ভিডিয়োয় তিনি দাবি করেছেন যে তিনি ইন্দোনেশিয়ার বালিতে রয়েছেন। জনপ্রিয় পর্যটনস্থলে দেদার মজা করছেন। কিন্তু ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসতেই রে রে করে ওঠেন নেটাগরিকদের একাংশ। ওই নেটাগরিকদের দাবি, প্রিয়া মিথ্যা কথা বলছেন। ভিডিয়োটি কোনও মতেই বালিতে গিয়ে তোলা হয়নি। ওই ভিডিয়ো নাকি ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে গোয়ায়। এর পরেই প্রিয়ার কপালে মিথ্যাবাদীর তকমা জোটে।
আরও পড়ুন:
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, সৈকতে দাঁড়িয়ে হিন্দি গানে নাচছেন এক বিবাহিতা তরুণী। তাঁর পরনে একটি টপ এবং কালো শর্টস। পিঠে একটি ব্যাগ ঝুলছে। হিন্দি গানে গা দোলাচ্ছেন তিনি। পিছনে দাঁড়িয়ে আরও অনেক জন পর্যটক। সেই ভিডিয়োকে কেন্দ্র করেই হইচই পড়েছে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
আরও পড়ুন:
ভাইরাল সেই ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে ‘অনলিপ্রিয়াতিওয়ারি’ নামের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ সেই ভিডিয়ো দেখেছেন। ৬ লক্ষেরও বেশি বার দেখা হয়েছে ভিডিয়োটি। লাইক এবং কমেন্টের ঝড় বয়ে গিয়েছে। নেটাগরিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে সেই ভিডিয়ো। ভি়ডিয়ো দেখে নেটাগরিকদের একাংশের দাবি, আশপাশের দৃশ্য দেখে ওই সমুদ্র সৈকত বালির বলে মনে হচ্ছে না। মনে হচ্ছে গোয়ায় ঘুরতে গিয়ে ভিডিয়োটি তুলেছেন তিনি। এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘উত্তর গোয়াকে বালি বলা হয় না।’’ অন্য এক ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী আবার লিখেছেন, ‘‘এটা গোয়া ম্যাডাম, বালি নয়।’’ উল্লেখ্য, প্রিয়া এক জন নেটপ্রভাবী (ইনফ্লুয়েন্সার)। ইনস্টাগ্রামে ৮ লক্ষেরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে তাঁর।