চলছে হামাগুড়ি দেওয়ার প্রতিযোগিতা। ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
এক দিকে রয়েছে চার খুদে। অন্য দিকে রয়েছেন তাদের বাবা-মায়েরা। হামাগুড়ি দিয়ে বাবা-মায়ের কাছে পৌঁছতে হবে। যে যত তাড়াতাড়ি হামাগুড়ি দিয়ে পৌঁছতে পারবে, সে হবে বিজয়ী। প্রতিযোগিতার নিয়ম এইটুকুই। কিন্তু কোনও নিয়মকানুনের ধার মানেনি একরত্তিরা। কেউ চুপচাপ বসে রয়েছে। কেউ আবার হামাগুড়ি দেওয়ার পোজ় দিয়েই তার কাজ সেরেছে। সকলের এমন হাবভাব যেন সময় তাদের কাছে থমকে গিয়েছে। এক জন তো আবার প্রতিযোগিতা শুরুর মুখে উপুড় হয়ে ঘুমিয়েই পড়ল মাটিতে। এমনই এক ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)।
সম্প্রতি তাইল্যান্ডে বাচ্চাদের নিয়ে হামাগুড়ির প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই প্রতিযোগিতার ভিডিয়োই ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমের পাতায়।
ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে , চারটি শিশু একটি সাদা রেখার এ পারে রয়েছে। তাদের হামাগুড়ি দিয়ে কিছুটা দূরে আঁকা আর একটি সাদা রেখা পর্যন্ত পৌঁছতে হবে। রেখার ও পারেই অপেক্ষা করছেন তাদের বাবা-মায়েরা। কিন্তু এত পরিশ্রমই বা কে করবে? প্রতিযোগিতা শুরুর মুখে মাটিতে উপুড় হয়ে শুয়ে রইল এক শিশু। তার মাথায় পরিয়ে দেওয়া কাগজের ‘মুকুট’ও পরে গিয়েছে মাটিতে।
ক্যামেরার লেন্স কাছে নিয়ে যেতেই দেখা গেল, আধো আধো ঘুমচোখে তাকিয়ে রয়েছে সে। কোনও হেলদোল নেই তার। এমনকি, সেখানে উপস্থিত আরও তিন একরত্তিরও একই অবস্থা। কারও কোনও নড়ন-চড়ন নেই। হঠাৎ আলসেমি কাটিয়ে উঠে বসল শিশুটি। হামাগুড়ি দিতে উদ্যত হল সে। তাকে দেখে পাশে বসে থাকা শিশুটিরও যেন ঘোর কাটল। প্রতিযোগিতায় জিততে হবে ভেবেই যেন তাড়াতাড়ি হামাগুড়ি দিতে শুরু করল সে। কিন্তু বাকি দু’জন সেখানেই বসে রইল।
ভিডিয়োটি দেখে এক নেটাগরিক বলেছেন, ‘‘প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের চেয়ে তাদের বাবা-মায়েদের উত্তেজনাই বেশি।’’ আবার এক নেটব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘‘শিশুটি শুধু ঘুমোতে চায়। কোন দিকে কী হচ্ছে তা নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই তার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy