—প্রতীকী ছবি।
কলেজের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন ছাত্র। তাঁর কয়েক জন সহপাঠীও সেই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। কিন্তু যে সময় অনুষ্ঠান শুরু, ঠিক সেই সময়েই কলেজের এক শিক্ষিকার ক্লাস চলছিল। তাই হোয়াট্সঅ্যাপে শিক্ষিকাকে মেসেজ পাঠিয়ে সেই কথা জানান ছাত্র। অনুষ্ঠানে থাকার কারণে ক্লাসে উপস্থিত থাকতে পারবেন না, সে কথা শিক্ষিকাকে জানান তিনি। শুধু তা-ই নয়, ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলেও ওই শিক্ষিকা যেন বিক্রান্ত এবং অন্য সহপাঠীদের নাম উপস্থিতি তালিকায় লিখে দেন সেই অনুরোধও করেন তরুণ পড়ুয়া। তাতেই শিক্ষিকার রোষের মুখে পড়েন তিনি। সমাজমাধ্যমে হোয়াট্সঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট পোস্ট করে নিজের ভুলও জানতে চান তিনি।
এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট হওয়া ছবিটি দেখে জানা যায় যে, ছাত্রের নাম বিক্রান্ত। শিক্ষিকাকে হোয়াট্সঅ্যাপে তিনি বলেন, ‘‘আমার নাম বিক্রান্ত। আমি এআইএমএল-এর ছাত্র। আমাদের সেকশনে এখন কম্পিউটার নেটওয়ার্কের ক্লাস চলছে। আজ কলেজে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আমি এবং আমার কয়েক জন সহপাঠী সেই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছি। আমি এখানে একটি প্রেজ়েন্টেশন দেব। তাই আপনার কাছে আমার অনুরোধ, আপনি যেন ক্লাসের উপস্থিতির তালিকায় আমাদের নাম লিখে দেন। ধন্যবাদ।’’
শিক্ষিকা এই মেসেজটি দেখে খেপে যান। পড়ুয়ার মেসেজটি দেখে তিনি হোয়াট্সঅ্যাপেই পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘‘শিক্ষিকাদের সঙ্গে এ ভাবে কথা বলতে হয়?’’ পড়ুয়া কোথায় ভুল করেছেন তা বুঝতে না পেরে চ্যাটের স্ক্রিনশটটি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন। নেটব্যবহারকারীদের তিনি জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘আমায় প্লিজ় কেউ বুঝিয়ে বলুন যে আমি কোথায় ভুল করলাম?’’
ছবিটি দেখে এক নেটাগরিক উপদেশ দেন, ‘‘তুমি মেসেজের শুরুতে তোমার শিক্ষিকার উদ্দেশে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করোনি।’’ আবার অন্য এক নেটব্যবহারকারীর দাবি, ‘‘তুমি ইমেলে না জানিয়ে হোয়াট্সঅ্যাপ করেছ বলেই হয়তো উনি রেগে গিয়েছেন।’’ অন্য দিকে কৌতূহলী এক নেটাগরিক বিক্রান্তকে প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন যে, তার পর কী ঘটেছে। বিক্রান্ত সেই প্রশ্নের উত্তরে জানান, ‘‘আমি পরে ওঁর অফিসে গিয়ে ক্ষমা চাই। উনি জানান যে, কোনও ভাবে আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। উনিও আমার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy