ব্যস্ত রাস্তার মধ্যে হঠাৎই তৈরি হল বিশাল গর্ত। মাটি ভেদ করে ‘পাতালে’ ঢুকে গেল রাস্তার একাংশ। ঢুকে গেলেন এক বাইক আরোহীও। ঘটনার ১৮ ঘণ্টা পর মৃত্যু হল তাঁর। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সোলের গ্যাংডংয়ে সোমবার বিকালে ঘটনাটি ঘটেছে। মর্মান্তিক সেই ঘটনার ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
আরও পড়ুন:
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, একটি ব্যস্ত রাস্তা দিয়ে পেরিয়ে যাচ্ছে একের পর এক গাড়ি। হঠাৎই বিশাল আওয়াজ করে মাটির ভিতরে ঢুকে যায় রাস্তার একাংশ। তৈরি হয় সিঙ্কহোল। একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারালেও সামলে নিয়ে কোনও রকমে গর্তে পড়ার হাত থেকে রক্ষা পায়। কিন্তু সোজা গিয়ে গর্তে পড়ে যান দ্রুত গতিতে বাইকে করে যাওয়া এক যুবক। বাইক নিয়ে সোজা গর্তে ঢুকে যান তিনি। পিছনে থাকা একটি গাড়ি থেকে পুরো ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি করা হয়। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।
আরও পড়ুন:
আরও পড়ুন:
সোলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য চোসুন ডেলি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, পার্ক নামের ওই যুবক অপ্রত্যাশিত ভাবে তৈরি হওয়া গর্তে পড়ে যান। ঘটনার কিছু ক্ষণ পরেই সেখানে পৌঁছয় একটি অনুসন্ধান দল। স্থানীয় সময় রাত দে়ড়টা নাগাদ গর্ত থেকে পার্কের মোবাইল ফোনটি আবিষ্কার করেন উদ্ধারকারীরা। পরদিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। এরও দু’ঘণ্টা পর উদ্ধার হয় তাঁর বাইক। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে কোরিয়া টাইমসের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, সোলের রাস্তায় যে সিঙ্কহোলটি তৈরি হয়েছে সেটি প্রায় ৩০ মিটার গভীর এবং ২০ মিটার চওড়া। তবে কী কারণে সেই গর্ত তৈরি হল, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। ঘটনার জেরে গ্যাংডংয়ের স্থানীয় চারটি স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এলাকায় জল এবং গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলেও খবর।
আরও পড়ুন:
সোল মেট্রোপলিটন সরকারের এক জন কর্তা ভয়াবহ দুর্ঘটনার পরের পরিস্থিতি এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে কথা বলেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘সামনেই ভূগর্ভস্থ একটি রাস্তা তৈরি হয়েছিল। তার সঙ্গে ওই ঘটনার যোগ থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছি না। সঠিক কারণ নির্ধারণের আগে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে।”
উল্লেখ্য, ওই দুর্ঘটনার যে ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে এসেছে সেটি পোস্ট করা হয়েছে ‘কলিন রাগ’ নামের এক্স হ্যান্ডল থেকে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ ভিডিয়োটি দেখেছেন। ভিডিয়ো দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নেটাগরিকদের একাংশ।