১৫৫ বছরের পুরনো বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন এক যুবক এবং তাঁর বন্ধুরা। ভাঙাচোরা সেই বাড়ির ভাড়া কম দেখেই সেখানে বসবাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই ভয়ঙ্কর সত্য প্রকাশ্যে এল সেই বাড়ি নিয়ে। রাতারাতি বাড়ি ছাড়লেন ওই তরুণ এবং তাঁর বন্ধুরা। এ রকমই এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার খবর সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। হইচই পড়ে গিয়েছে সেই ঘবরটি নিয়ে।
আরও পড়ুন:
সংবাদমাধ্যম ‘নিউইয়র্ক পোস্ট’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘লাগরিমাস ৩৩৩’ নামে রেডিট অ্যাকাউন্ট থেকে এক ব্যবহারকারী তাঁর সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিয়েছেন। ওই ব্যবহারকারী জানিয়েছেন যে, ১৫৫ বছরের পুরনো একটি বাড়িতে থাকতেন তিনি এবং তাঁর বন্ধুরা। ১৮৭০ সালে তৈরি বাড়িটি পুরনো হলেও প্রথম কয়েক দিন সব ভালই চলছিল। তবে উৎপাত শুরু হয় কয়েক দিন পর থেকে। রাতে বাড়ি থেকে নাকি অদ্ভুত আওয়াজ ভেসে আসত। প্রায়শই সিঁড়ি বেয়ে ওঠানামার শব্দ শুনতে পেতেন তাঁরা। এর পর নাকি পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। অনেক সময় তাঁরা নাকি ওই বাড়িতে একটি ছায়াও দেখেন।
আরও পড়ুন:
ওই ব্যবহারকারীর দাবি, এক দিন এমন একটা ঘটনা ঘটে যে সেই বাড়িতে ভূতের উপস্থিতি নিয়ে তাঁদের ধারণা দৃঢ় হয়। রেডিট ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, এক রাতে তিনি এবং তাঁর বন্ধুরা অন্ধকার ঘরে কাউকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। জ্বলজ্বলে চোখ দেখে আত্মারাম খাঁচাছাড়া হয়ে যায় তাঁদের। ওই ব্যবহারকারীর যে বন্ধুরা সেই সময় ঘরে ছিলেন না, বাকিরা তাঁদের ঘটনাটি জানান। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে তড়িঘড়ি ওই ভাড়ার বাড়ি ছেড়ে পালান তরুণের দল।
আরও পড়ুন:
ওই রেডিট ব্যবহারকারীর দাবিতে ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যম জুড়ে হইচই পড়েছে। বিভিন্ন রকম আলোচনা শুরু হয়েছে। নেটাগরিকদের একাংশ রেডিট ব্যবহারকারীর দাবি মেনে নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতার তথা জানিয়েছেন। অনেকে আবার বিষয়টি স্রেফ বুজরুকি বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।