২০১৬ সালে বাড়ির লাড্ডুগোপালকে স্কুলে ভর্তি করিয়েছিলেন হরিয়ানার চিকিৎসক সঞ্জীব বশিষ্ঠ। এ বার পঞ্চম শ্রেণিতে ৫০০-য় ৫০০ পেয়ে ‘পাশ’ করলেন তিনি! উত্তীর্ণ হলেন ষষ্ঠ শ্রেণিতে! ভগবান স্কুলে পড়ছেন শুনে অবাক লাগছে? অবিশ্বাস্য হলেও তেমনটাই ঘটেছে হরিয়ানার কৈথল শহরে। সেই শহরের মেরিগোল্ড পাবলিক স্কুলে বিগত ন’বছর ধরে পড়ছেন লাড্ডুগোপাল। ভগবানের পঞ্চম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
আরও পড়ুন:
২০১৬ সালে কৈথল শহরের বাসিন্দা সঞ্জীব বাড়ির আরাধ্য লাড্ডুগোপালকে নিয়ে মেরিগোল্ড পাবলিক স্কুলে পৌঁছন। তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে লাড্ডুগোপালকে নার্সারিতে ভর্তি নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। অনুরোধ শুনে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং শিক্ষক-শিক্ষিকারা। কিন্তু সঞ্জীব যখন তার ইচ্ছার কথা ব্যাখ্যা করেন, তখন সবাই তার চিন্তাভাবনা দেখে মুগ্ধ হন। সঞ্জীব জানান, লাড্ডুগোপালকে ভর্তি করার অর্থ, তিনি লাড্ডুগোপালের নামে প্রতি বছর এক জন করে দরিদ্র শিশুর পড়াশোনার খরচ জোগাবেন। এর পর স্কুলের ম্যানেজার সুরেন্দ্র অরোরা জেলা শিক্ষাকর্তা শমসের সিংহ সিরোহির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। ছাড়পত্র পাওয়ার পর স্কুলে ভর্তি করানো হয় লাড্ডুগোপালকে। বিগত ন’বছর ধরে সেখানেই ‘পড়ছেন’ লাড্ডুগোপাল ভগবান। তার বদলে মাধব নামে এক গরিব পরিবারের সন্তানকেও ওই স্কুলে পড়াচ্ছেন লাড্ডুগোপাল। উল্লেখ্য, সঞ্জীবের পুত্র অঙ্গদ এবং মেয়ে বৃন্দাও ওই একই স্কুলে পড়াশোনা করছে। সঞ্জীবের দাবি, লাড্ডুগোপালের নামে একটি অভাবী শিশুর পড়াশোনার ব্যবস্থা করতে পেরে তিনি খুবই খুশি।
আরও পড়ুন:
প্রতি বছরই স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে লাড্ডুগোপালের পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। যেমনটা এ বছরও হয়েছে। পঞ্চম শ্রেণিতে প্রতিটি বিষয়ে ১০০ নম্বর পেয়েছেন তিনি। চিকিৎসক সঞ্জীব এবং তাঁর পরিবারও ফলাফল ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন। ভগবানের পরীক্ষার ফলাফল শুনে হাততালি দেন সকলে। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।
আরও পড়ুন:
ভাইরাল সেই ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে ‘ইন্ডিয়া ইয়েস্টারডে’ নামের এক্স হ্যান্ডল থেকে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ সেই ভিডিয়োটি দেখেছেন। লাইক এবং কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে সমাজমাধ্যমে। নেটাগরিকদের অনেকেই ভিডিয়োটি দেখে ভাল ভাল মন্তব্য করেছেন। চিকিৎসক সঞ্জীবের উদ্যোগের জন্য সাধুবাদও জানিয়েছেন অনেকে।