আবার উত্তপ্ত কাশ্মীর। জঙ্গি হামলায় রক্তে লাল ভূস্বর্গের বিখ্যাত পর্যটনস্থান পহেলগাঁও উপত্যকার মাটি। নৃশংস সেই হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে গোটা দেশ-সহ পৃথিবীর নানা প্রান্তের মানুষ। চুপ থাকেননি কাশ্মীরের স্থানীয়েরাও। তাঁদের মাটি ছুঁয়ে দেখতে গিয়ে হারিয়ে যাওয়া প্রাণেদের প্রতি সমবেদনা জানাতে মোমবাতি হাতে রাস্তায় নেমেছেন তাঁরা। তাঁদের সকলের মুখে একটাই স্বর, ‘‘নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’’ সমাজমাধ্যম জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে সেই ভিডিয়ো। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
আরও পড়ুন:
মঙ্গলবার দুপুরে কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। সেনাকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে, সেই উপত্যকায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের একটি দলকে লক্ষ্য করে জঙ্গিরা গুলি চালিয়েছেন। মাত্র কয়েক মিনিটের তাণ্ডবের নেপথ্যে ছিল চার থেকে ছ’জন জঙ্গি। স্থানীয় সূত্রে খবর, জঙ্গিদের পরনে ছিল পুলিশের পোশাক। কেউ কেউ আবার সেনার পোশাক পরেও এসেছিল। সকলেরই হাতে ছিল একে-৪৭। এখনও পর্যন্ত সেই ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই পর্যটক। হামলায় অনেকেই নিজেদের কাছের মানুষকে হারিয়েছেন। কারও কোল শূন্য করে চলে গিয়েছেন পুত্র, কেউ আবার মধুচন্দ্রিমায় এসে স্বামীকে হারিয়েছেন। গোটা দেশ এই ঘৃণ্য অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। প্রতিবাদে এগিয়ে এসেছেন কাশ্মীরের স্থানীয় মানুষও।
আরও পড়ুন:
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, রাস্তায় জ্বলন্ত মোমবাতি হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন শয়ে শয়ে স্থানীয় তরুণ। তাঁরা সকলে ‘বিচার চাই’ স্বর তুলেছেন। তাঁদের প্রতিবাদের আওয়াজে জেগে উঠেছে রাতের কাশ্মীর। তাঁরা জানিয়েছেন, ‘‘আগে আমরা ভারতের বাসিন্দা, তার পর কাশ্মীরের লোক। কাশ্মীরে ঘুরতে আসা পর্যটকদের উপর হওয়া এই হামলা পুরো মানবজাতির কাছে লজ্জার ব্যাপার।’’ সরকারের কাছে তাঁদের আর্জি, হামলাকারীদের দ্রুত শনাক্ত করে কঠিন শাস্তি দিতে হবে। মৃতদের পরিবারের প্রতিও স্থানীয়েরা সমবেদনা জানিয়েছেন। সেই ভিডিয়োই ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমের পাতায়।
‘মুহাসিব_এমআরজ়’ নামের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিয়োটি ভাইরালও হয়েছে। ইতিমধ্যে বহু নেটাগরিক ভিডিয়োটিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। নেটাগরিকেরা মনখারাপ করা মন্তব্যে ভরিয়ে তুলেছেন ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিয়োর মন্তব্যবাক্স।
- সংঘর্ষবিরতিতে রাজি ভারত এবং পাকিস্তান। গত ১০ মে প্রথম এই বিষয় জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে দুই দেশের সরকারের তরফেও সংঘর্ষবিরতির কথা জানানো হয়।
- সংঘর্ষবিরতি ঘোষণার পরেও ১০ মে রাতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গোলাবর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পাল্টা জবাব দেয় ভারতও। ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। তবে ১১ মে সকাল থেকে ভারত-পাক সীমান্তবর্তী এলাকার ছবি পাল্টেছে।
-
‘ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি’! ভারতের ব্রহ্মস হানা নিয়ে নিজেদের শঙ্কার কথা প্রকাশ করলেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা
-
পহেলগাঁও কাণ্ডের পরে ‘কোপ’ পড়েছিল, সেই সব পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল, ইনস্টাগ্রামের উপর থেকে সরছে নিষেধাজ্ঞা
-
সিন্ধু চুক্তি নিয়ে পাকিস্তান থেকে পর পর চিঠি, ভারত কি অবস্থান বদলাবে? উত্তর দিলেন জলশক্তিমন্ত্রী
-
প্রতিরক্ষায় কতটা দক্ষ ভারত? সংঘাতের পর গোয়েন্দা তথ্য নয়াদিল্লির আর এক ‘শত্রু’ দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান!
-
ভারত নিয়ে ফোনে আলোচনা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এবং সৌদির যুবরাজের! কী কথা হল? কী বললেন শাহবাজ়