—প্রতীকী ছবি।
চার বছরের আলাপের পর বিয়ে। এত বছরের ফোনালাপের পর অবশেষে সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছিলেন তরুণ। বিয়ে নিয়ে উৎসাহের অন্ত ছিল না তাঁর। বরযাত্রী নিয়ে সময়মতো বিয়ের ‘মণ্ডপে’ও পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছনোর পর তরুণের চক্ষু চড়ক গাছে। পাত্রী কোথায়? কনেপক্ষই বা কই? এ যে ‘গড়ের মাঠ’!
উত্তরপ্রদেশের দেবপুর খেরা গ্রামের বাসিন্দা সোনু। কর্মসূত্রে চণ্ডীগড়ে থাকেন তিনি। চণ্ডীগড়ে থাকাকালীন কাজল নামে এক তরুণীর সঙ্গে ফোনে আলাপ হয় তাঁর। মাঝেমধ্যে কাজলের সঙ্গে দেখাও করেছেন সোনু। তরুণের দাবি, চার বছর ধরে কাজলের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে তাঁর। কাজলকে পাঁচ লক্ষ টাকা ধারও দিয়েছিলেন তিনি। দীর্ঘকাল সম্পর্কে থাকার পর বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন দু’জনে। কাজলের বাবা শিসলালের সঙ্গে কথা বলে বিয়ের পাকাকথা বলেন সোনু।
তরুণের অভিযোগ, ১১ জুলাই উত্তরপ্রদেশের রহিমাবাদ গ্রামের হাসিমপুর এলাকায় বিয়ে হওয়ার কথা ছিল তাঁর। বৃহস্পতিবার রাতে বরযাত্রী নিয়ে নির্দিষ্ট ঠিকানায় পোঁছে যান সোনু। কিন্তু সেখানে পৌঁছনোর পর তিনি দেখেন, বিয়ের অনুষ্ঠানের কোনও আয়োজন নেই। নেই বিয়ের ‘মণ্ডপ’ও।
পাত্রী থেকে শুরু করে কনেপক্ষের টিকিও দেখতে পাননি তিনি। বার বার কাজল এবং শিসলালের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করতে থাকেন সোনু। কিন্তু সব চেষ্টাই বৃথা। তাঁদের দু’জনের মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। স্থানীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন, কাজল এবং শিসলাল নামে ওই এলাকায় কেউ থাকেন না। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় থানায় যান সোনু। শিসলাল এবং কাজলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
সোনু জানান, বুধবারের পর আর কাজলের সঙ্গে ফোনে কথা হয়নি তাঁর। বিয়ের দিন সকাল থেকেই নানা রকম আচার-অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন বলে তাঁকে ফোনে পাওয়া যাবে না, সে কথা আগেই সোনুকে জানিয়ে দিয়েছিলেন কাজল। কিন্তু চার বছরের আলাপ থাকার পর তিনি যে এ ভাবে ঠকবেন, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি সোনু। শেষ পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দায়ের করে বরযাত্রী নিয়ে আবার বাড়ি ফিরে যেতে হয় তাঁকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy