—প্রতীকী ছবি।
সারা দিনরাত খালি পার্সেল চলেই আসছে। তা নিয়েই নাজেহাল হয়ে উঠেছেন আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী। পার্সেল সংক্রান্ত কাজ নিয়ে এতই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন যে, নিজের কাজকর্ম সামলানোর জন্য সময়ই পাচ্ছেন না তিনি। বাধ্য হয়ে আবাসনের কর্তৃপক্ষের কাছে নালিশ জানাতে বাধ্য হলেন নিরাপত্তারক্ষী। তাঁর পরিস্থিতি বুঝতে পেরে আবাসনের বাসিন্দাদের বিশেষ নির্দেশও দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। সেই লিখিত নির্দেশের ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও এই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)।
‘শগুন’ নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পাতায় একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে। ছবিটি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘‘আবাসন কর্তৃপক্ষেরা উন্মাদ। আমার ভাই যে বহুতলে থাকে, সেখানে এক দিনে অতিরিক্ত পার্সেল আসছে বলে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।’’
আবাসনের কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে যে, সাত বছর ধরে সেখানে এক জন নিরাপত্তারক্ষী রয়েছেন। তাঁর কাজকর্ম নিয়ে কোনও দিন কোনও সমস্যা হয়নি। হাসিমুখেই সকলের সমস্ত কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু নিরুপায় হয়ে তিনি নালিশ জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষের কাছে। নিরাপত্তারক্ষী জানান, আবাসনের এফ ব্লকের যে অবিবাহিতেরা রয়েছেন, তাঁরা সারা দিনরাত অনলাইনে অর্ডার করছেন। দিনে অন্তত ১০ থেকে ১৫টি ডেলিভারি আসছে ওই ব্লকে। ওটিপি দেওয়া থেকে শুরু করে অর্ডার গ্রহণ করার সমস্ত কাজই করছেন ওই নিরাপত্তারক্ষী। কিন্তু নিজের কাজ করার সময়ই পাচ্ছেন না তিনি।
আবাসনের কর্তৃপক্ষ ওই নির্দিষ্ট ব্লকের অবিবাহিতদের বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন যে, দিনে এক থেকে দু’টি পার্সেল যেন তাঁদের নামে আসে। তার অন্যথা হলে যেন পার্সেল সংক্রান্ত কাজকর্ম সারার জন্য অবিবাহিতেরা ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী নিযুক্ত করেন। নয়াদিল্লির এই আবাসনের বিশেষ নির্দেশ দেখে এক নেটাগরিক বলেন, ‘‘একদম সঠিক সিদ্ধান্ত। নিরাপত্তারক্ষীদের উপর এত চাপ দেওয়া কখনওই উচিত নয়। সারা দিনে এত পার্সেলই বা আসে কী করে?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy