তারুণ্যে পা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চাকরিও পেয়ে গিয়েছেন তরুণী। পারিশ্রমিক পেলেও বাড়িভাড়া দেওয়ার সামর্থ্য নেই তাঁর। তাই বসের স্ত্রীকে ন্যূনতম খরচ দিয়ে অফিসের শৌচালয়ে থাকতে শুরু করেন তরুণী।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ১৮ বছর বয়সি তরুণীর নাম ইয়াং। চিনের হুনান প্রদেশের একটি আসবাবের দোকানে চাকরি করেন তিনি। প্রতি মাসে ২৭০০ ইউয়ান (ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩১ হাজার ৭৭৬ টাকা) বেতন পান তিনি। বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকবেন বলে খোঁজাখুঁজি করতে শুরু করেন ইয়াং। কিন্তু কম খরচে কোনও ভাড়াবাড়ির সন্ধান পাচ্ছিলেন না তিনি।
আরও পড়ুন:
বাড়িভাড়া বাবদ প্রতি মাসে কমপক্ষে ৮০০ ইউয়ান (ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৯ হাজার ৪১৫ টাকা) খরচ করতেই হবে ইয়াংকে। এত খরচ করার সামর্থ্যও নেই ইয়াংয়ের। তাই অন্য পন্থা অবলম্বন করলেন তিনি। ইয়াং যে দোকানে কাজ করেন, সেখানকার শৌচালয়ে থাকতে শুরু করেন তিনি। ইয়াং এই বিষয়ে অবশ্য তাঁর বসের স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন। ইয়াং জানান যে, শৌচালয়ে থাকার জন্য তিনি প্রতি মাসে ভাড়া বাবদ ১৬৫ ইউয়ান (ভারতীয় মুদ্রা অনুযায়ী ১৯৪৩ টাকা) দিতে রাজি ছিলেন। কিন্তু ইয়াংয়ের কাছে অত ভাড়া নিতে চাননি বসের স্ত্রী। তিনি জানান যে, শৌচালয়ে থাকার খরচ বাবদ প্রতি মাসে তাঁকে ৩৯ ইউয়ান (ভারতীয় মুদ্রায় ৪৬২ টাকা) করে দিতে হবে।
আরও পড়ুন:
বসের স্ত্রীর প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান ইয়াং। তার পর মালপত্র নিয়ে সেই শৌচালয়ে চলে যান তরুণী। সেখানেই স্নান, খাওয়াদাওয়া, ঘুম সারেন তিনি। দোকানের ভিতর ঘুমোনোর প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল ইয়াংকে। কিন্তু অত বড় শোরুমের ভিতর একা থাকতে ভয় করবে বলে শৌচালয়ের ভিতরেই খাট পেতে নিয়েছেন তরুণী। মোটা কাপড় দিয়ে শৌচালয়ের একটি অংশ আলাদা করে দিয়েছেন ইয়াং। দোকান চালু থাকার সময় অন্য কর্মী এবং ক্রেতাদের শৌচালয় ব্যবহার করতে যেন অসুবিধা না হয় সে কারণে রাত পোহালেই নিজের মালপত্র সব এক জায়গায় গুছিয়ে রেখে দেন ইয়াং। গত এক মাস ধরে এ ভাবেই দোকানের শৌচালয়কে বাড়ি বানিয়ে ফেলেছেন তিনি।