ড্রোনের চোখে ধরা পড়ল স্ত্রীর কাণ্ডকারখানা! —ছবি: সংগৃহীত।
বিয়ের পর সম্পর্কের মধ্যে যে উত্তেজনা ছিল, গত এক বছরে তা যেন ধীরে ধীরে থিতিয়ে পড়তে থাকে। এমনকি, স্ত্রীর হাবভাবেও পরিবর্তন লক্ষ করছিলেন তরুণ। অফিসে ক্রমাগত পদোন্নতি হচ্ছিল স্ত্রীর। শুধু তাই নয়, আগের চেয়ে ঘন ঘন বাপের বাড়ি যাওয়াও শুরু করেছিলেন তিনি। দিনের পর দিন এ ভাবে চলতে থাকায় মনে সন্দেহ দানা বাঁধে স্বামীর। স্ত্রীর উপর নজরদারি করার জন্য ড্রোন কিনলেন তরুণ। সর্ব ক্ষণ ড্রোনে চোখ লাগিয়ে পিছু নিতেন স্ত্রীর। অনুসরণ করতে গিয়েই অন্য পুরুষের সঙ্গে স্ত্রীকে দেখে ফেললেন তরুণ। পুরুষটি কে, তা ভাল ভাবে দেখতে গিয়ে চমকে গেলেন তিনি। এই ব্যক্তি যে তাঁর পরিচিত! তাঁর স্ত্রী যে কারখানায় কাজ করেন, সেই কারখানারই বস্ তিনি। অর্থাৎ, বসের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন তাঁর স্ত্রী! ড্রোনের চোখে দেখতে গিয়ে স্বপ্নভঙ্গ হল তরুণের।
ঘটনাটি চিনের মধ্য হুবেই প্রদেশের শিয়ান এলাকার। সেখানেই স্ত্রী ইয়ুর সঙ্গে থাকেন জিং। গত এক বছর ধরে ইয়ু এবং জিংয়ের সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হয়। একে অপরের সঙ্গে তেমন কথা বলতেন না তাঁরা। বাড়িতে যেন মন টিকত না ইয়ুর। ঘন ঘন বাপের বাড়ি যাওয়ার নাম করে বেরিয়ে যেতেন তিনি। অফিসেও তাঁর পদের ক্রমাগত উন্নতি হচ্ছিল। ইয়ুর জীবনশৈলী দেখে সন্দেহ হতে থাকে জিংয়ের। ইয়ুকে সর্ব ক্ষণ অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তবে এ ক্ষেত্রে প্রযুক্তির উপরেই ভরসা রাখলেন জিং। ড্রোনের চোখে নজর দিয়ে ইয়ুকে অনুসরণ করতে শুরু করেন তিনি। এক দিন ড্রোনচক্ষুই সর্বনাশ ডেকে আনল জিংয়ের সংসারে।
স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বাড়ি থেকে অফিস যাওয়ার নাম করে বেরিয়েছিলেন ইয়ু। কিন্তু অফিসের রাস্তা না ধরে অন্য দিকে গাড়ি চালিয়ে চলে যান ইয়ু। এক জঙ্গলের সামনে গাড়ি দাঁড় করিয়ে নেমে পড়েন তরুণী। তার পর সোজা জঙ্গলের ভিতর চলে যান। জঙ্গলের ভিতর একটি মাটির বাড়ি ছিল। সেখানেই বিনা অনুমতিতে ঢুকে পড়েন তিনি। অন্য দিকে, ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারির সময় ইয়ুর হাবভাব দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছিলেন জিং।
২০ মিনিট মাটির বাড়ির ভিতরেই ছিলেন ইয়ু। তার পর সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায় জিংয়ের স্ত্রীকে। কিন্তু তাঁর সঙ্গে অন্য পুরুষ। ইয়ু যে কারখানায় কাজ করেন, সেই কারখানার বসের বাহুবন্ধনে রয়েছেন জিংয়ের জীবনসঙ্গিনী। নিজের বসের সঙ্গেই যে ইয়ু পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন, ,তা বুঝতে আর বাকি থাকে না জিংয়ের। ড্রোনের চোখে দেখা যায়, জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আবার দু’জনে অফিসের দিকে গাড়ি ঘুরিয়ে নেন।
ইয়ুর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পেরে মন ভেঙে যায় জিংয়ের। স্থানীয় এক সংবাদ সংস্থায় সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় তিনি বলেন, ‘‘ইয়ু ওর বসের সঙ্গে অফিস চত্বরে মিশতে পারত না। সে কারণেই আড়ালে গিয়ে দেখা করত। আমি আর মেনে নিতে পারছি না। বিবাহবিচ্ছেদের কথা ভাবছি আমি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy