কলেজের পড়াশোনা শেষ করে নামী বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করবেন, লাখ লাখ টাকা উপার্জন করবেন— এই ছিল তরুণের স্বপ্ন। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হলেও মনে শান্তি নেই তাঁর। মাসে দেড় লক্ষ টাকা উপার্জন করেন তরুণ। তবুও অর্থাভাবে দিন কাটাতে হয় তাঁকে। সমাজমাধ্যমে সেই কথা জানিয়ে চিন্তার কথাও জানিয়েছেন সেই তরুণ (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
আরও পড়ুন:
‘ওয়ানপয়েন্ট৫জ়িরো’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে রেডিটের পাতায় একটি পোস্ট করা হয়েছে। ২৬ বছর বয়সি এক তরুণ তাঁর নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেছেন সেই পোস্টে। তিনি বেঙ্গালুরুতে থাকেন। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার তিনি। প্রতি মাসে দেড় লক্ষ টাকা উপার্জন করেন। তাঁর প্রেমিকাও থাকেন বেঙ্গালুরুতে। ভবিষ্যতে বিয়ের পরিকল্পনা করেছেন তাঁরা। বেঙ্গালুরুতে গিয়ে চাকরি-সংসারের স্বপ্ন দেখতেন তরুণ। সে স্বপ্ন পূরণও করে ফেলেছেন তিনি। কিন্তু মনে কোনও আনন্দ নেই তাঁর।
তরুণ জানান, বাড়িতে প্রতি মাসে টাকা পাঠান তিনি। ঋণ শোধ করতেও মোটা টাকা খরচ হয় তরুণের। বেঙ্গালুরুতে থাকার খরচ মেটাতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যান তিনি। তরুণ লেখেন, ‘‘মাসের শেষে আমার কাছে ৩০-৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত পড়ে থাকে। বেঙ্গালুরুতে থাকাখাওয়ার খরচ মেটাতে গিয়ে আর পারি না। অথচ আমি এক সময় এখানেই চাকরি করতে চেয়েছিলাম। ভাবিনি এমন জীবন কাটাতে হবে।
বাবা-মাকে টাকা পাঠানো বন্ধ করে দিলে তাঁদের খুব অসুবিধা হবে। আমারও যদি চাকরি চলে যায় তা হলে বড় জোর ৩-৪ মাস খরচ চালাতে পারব। এখানে কম খরচে থাকতে চাইলে প্রতিটি জিনিসের গুণমানও কমে যায়। দেড় লক্ষ টাকা মাইনে পেয়েও যদি আমার এই অবস্থা হয় তা হলে কী করব?’’ সমাজমাধ্যমে দুঃখপ্রকাশ করে নিজেই ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন তরুণ। তাঁর পোস্ট দেখে সমবেদনা জানিয়েছেন নেটাগরিকদের একাংশ। এক জন লিখেছেন, ‘‘চাকরি করার পর এই চিন্তাগুলোই মানসিক শান্তি ছিনিয়ে নেয়।’’