প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত।
গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে বাড়িতে গণেশ আরাধনা করেছিলেন বেঙ্গালুরুর দম্পতি রামাইয়া ও উমা দেবী। প্রথা মেনে পূজার্চনার শেষে গণপতির মূর্তি বিসর্জনও দেন তাঁদের পরিবার। বাড়ি ফিরতেই টনক নড়ে তাঁদের। গণেশের মূর্তির সঙ্গে যে জলে ফেলে দিয়েছেন চার লাখের সোনার হার! ফুলের মালার সঙ্গে তাঁরা ভগবানকে একটি সোনার হার উৎসর্গ করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ১০ ঘণ্টা অক্লান্ত অনুসন্ধানের পর শেষমেশ ওই অলঙ্কারটি ফিরে পান পরিবারের সদস্যেরা। ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুর বিজয়নগরের দাসারহাল্লি সার্কেলের কাছে।
একটি সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন অনুসারে, ফুল ও অন্যান্য অলঙ্কার দিয়ে মূর্তি সাজানোর পাশাপাশি দম্পতি দেবতাকে প্রায় ৬০ গ্রাম ওজনের সোনার হার অর্পণ করেছিলেন। গত শনিবার রাতে ওই দম্পতি একটি ভ্রাম্যমান জলাধারে গণেশমূর্তি বিসর্জন দিতে যান। বাড়ি ফিরে তাঁদের মনে পড়ে বিসর্জনের আগে মূর্তি থেকে হারটি খোলা হয়নি।
এক ঘণ্টা পরে দম্পতি সেই হার খুঁজতে বিসর্জনস্থলে ফিরে আসেন। বিসর্জনের সময় সেখানে উপস্থিত কয়েক জন যুবক জানান যে তাঁরা হারটি দেখেছেন কিন্তু সকলেই ভেবেছিলেন এটি নকল সোনার হার। এর পর ওই দম্পতি সাহায্যের আশায় মাগাদি রোড থানা এবং গোবিন্দরাজ নগরের বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বিধায়কের তৎপরতায় যে ঠিকাদার জলাধারটি স্থাপন করেছিলেন, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। জলাধারটিতে নেমে কয়েক জন যুবক হারটি খোঁজার চেষ্টা করলেও তা পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত পরিবারকে জলাধারের জল নিষ্কাশনের অনুমতি দেওয়া হয়। প্রায় ১০ ঘণ্টা অনুসন্ধান পর্বের পর অন্যান্য গণেশমূর্তির মাটির অবশিষ্টাংশের মধ্যে সোনার হারটির সন্ধান মেলে এবং দম্পতিকে তা ফেরত দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy