হাতি আকারে বিশাল হলেও, মনের দিক থেকে কিন্তু নেহাতই সাদামাঠা। আর বাচ্চা হাতিদের ব্যাপার তো বলাই বাহুল্য। তারা আর পাঁচজন মানবশিশুর মতোই নিরীহ। সম্প্রতি থাইল্যান্ডের এক অভয়ারণ্যের নিষ্পাপ এক বাচ্চা হাতির মন ভাল করা ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। ছোট্ট সেই হাতিটি যে মানুষের সঙ্গে ভাব জমাতে খুব পছন্দ করে সেটি সেই ভিডিয়ো দেখেই বোঝা যাচ্ছে। শুধু ভাব জমানো নয়, সেই পুচকে গজানন লোকের গায়ে পড়ে তাঁদের সঙ্গে সখ্য স্থাপন করতে চায়। ভালবাসা বিনিময় করতে গিয়েই বেকায়দায় এক তরুণীর গায়ে একটু বেশিই ঢলে পড়ে পুচকে হাতিটি। আর তার ভারে পৃথিবীর বুকে লুটিয়ে পড়েন সেই তরুণী। সেই ভিডিয়োই ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমের পাতায়। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
আরও পড়ুন:
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, একটি মা হাতির গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে রয়েছে এক হস্তীশাবক। আশপাশে অনেক লোকজন। মা হাতিটি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মনের সুখে খড়কুটো চিবিয়ে চললেও বাচ্চা হাতিটির লোকজনের সঙ্গে মিশে মজা করার শখ প্রবল। সে সকলের কাছে গিয়েই শুঁড় দুলিয়ে আদর খাচ্ছে, আবার নিজেও আদর করে দিচ্ছে। গায়ের উপর শুঁড় তুলে পর্যটকদের আদরে ভরিয়ে দিচ্ছিল শাবক গজাননটি। হাতিটির সেই অতিরিক্ত বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখে অনেক পর্যটক আবার ভয়ও পাচ্ছিলেন। কারণ, বাচ্চা হলেও, হাতি তো! তবে পুচকে হাতিটির সে সব দিকে খেয়ালই নেই। বরং কোনও মানুষ তার কাছে আসতে ভয় পেলে সে নিজে দৌড়ে তার কাছে চলে যাচ্ছিল আদর খাওয়ার জন্য। তার পরেও কোনও পর্যটক তাকে দেখে ভয় পেয়ে অন্য দিকে দৌড় দিলে সে আবার ‘লক্ষ্মীছানা’র মতো মা হাতির কাছে এসে গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে পড়ছিল। এর পর এক তরুণী মাটির উপর হাঁটু ভাঁজ করে বসে বাচ্চা হাতিটিকে নিজের কাছে ডেকে নেন। বাচ্চা হাতিটি খুশি মনে শুঁড় নাচাতে নাচাতে তরুণীর কাছে আদর খেতে গিয়ে তাঁর উপরেই উঠে পড়ে। মাটিতে লুটিয়ে পড়ে চিৎকার করতে থাকেন সেই তরুণী। শান্ত মনে দাঁড়িয়ে থাকা মা হাতিটি বাচ্চার কাণ্ড দেখে আর শান্ত থাকতে পারে না, ছুটে যায় বাচ্চার কাছে। মা-কে দেখে বাচ্চাটি পিছিয়ে যায়। পর্যটকেরা সেই কাণ্ড দেখে হেসে গড়িয়ে পড়েন। সেই ভিডিয়োই ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমের পাতায়।
আরও পড়ুন:
‘নিউ ইয়র্ক পোস্ট’ নামের এক্স হ্যান্ডল থেকে ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিয়োটি ভাইরালও হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৩৪ হাজার বার ভিডিয়োটি দেখা হয়েছে। নেটাগরিকেরা ভিডিয়োটির মন্তব্যবাক্সে নানা মন ভাল করা মন্তব্য করেছেন।