হাসপাতাল চত্বরে অবাধে বিচরণ করছে গরু৷ কোনরকমে চলছে আউটডোরে রোগী দেখার কাজ। ভগ্নপ্রায় পরিত্যক্ত হাসপাতাল চত্বরের একাধিক বাড়ি। কুলতলি ব্লকের কাঁটামারি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এই বেহাল দশার জেরে সমস্যায় স্থানীয় বাসিন্দারা৷ ব্লক হাসপাতাল প্রায় ২০ থেকে ২৫ কিমি দূরে। স্থানীয় বাসিন্দা কৄষ্ণা গিরি জানান সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন গর্ভবতী মহিলারা৷ এই হাসপাতালে প্রসবকালীন সুযোগ সুবিধা না থাকায় অনেক সময় রাস্তাতেই প্রসব করাতে বাধ্য হন অনেকে। প্রতিমা কুইলা বলেন, ‘‘রাতের বেলায় বাড়ির কেউ অসুস্থ বোধ করলে তখন চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়’’৷ বাসন্তী পাল জানান পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য কোনও ল্যাবরেটরি নেই, ফলে শারীরিক কোনও সমস্যা হলে পরীক্ষার জন্য অন্যত্র যেতে হয় তাঁদের৷ এলাকার বাসিন্দা রাধাগোবিন্দ দাস বলেন, ‘‘হাসপাতালে ডাক্তারদের জন্য কোয়ার্টার থাকলেও সেখানে কেউই থাকেননা’’। সুন্দরবনের এই হাসপাতালে সর্বক্ষণের চিকিৎসক থাকা প্রয়োজন বলে জানান তিনি৷ সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন দক্ষিন চব্বিশ পরগনা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মুক্তিসাধন মাইতি৷ কুলতুলি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক গনেশ চন্দ্র পাল জানান, তাঁরা এলাকার হাসপাতালগুলির উন্নতির ব্যাপারে জেলাশাসক ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে চিঠি দিয়েছেন৷
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy