রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। কলকাতা হাই কোর্টে বার বার সমালোচিত হয়েছেন তিনি। নিয়োগ করার পরেও রাজ্যপাল তাঁর যোগদান রিপোর্টে সই না করে ফেরত পাঠিয়েছেন। রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট করানোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোর্টে গিয়েছেন বিরোধীরা। অনেক টালবাহানা এবং আপত্তির পর শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর কথা জানিয়েছে কমিশন। এক দফায় ২২টি জেলার ভোট করানো নিয়েও আপত্তি রয়েছে বিরোধী দলগুলির। তাদের দাবি, মনোনয়ন পর্ব থেকেই হিংসা প্রমাণ করে দিচ্ছে যে এ রাজ্যে শান্তিপূর্ণ ভোট হওয়া অসম্ভব। জেলায় জেলায় বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বার বার। এ বারের ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন ১২.১৯ শতাংশ প্রার্থী। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে সংখ্যাটা ছিল ৩৪.২ শতাংশ। শাসক-বিরোধী সংঘর্ষে এ পর্যন্ত চার জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানাচ্ছে কমিশন। যদিও বিরোধীদের দাবি, সংখ্যাটা আরও বেশি। সব মিলিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। শেষ পর্যন্ত কতটা শান্তিপূর্ণ ভাবে ‘গণতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উৎসব’ পালিত হবে, সব নজর আপাতত সে দিকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy