প্রতিবেদন: প্রচেতা, সম্পাদনা: বিজন
সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারের জের। নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা থেকে সরানো হল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। তাঁর এজলাস থেকে সরতে চলেছে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা। বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চের সিদ্ধান্তেই নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা শোনার এক্তিয়ার হারাতে চলেছেন হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরিবর্তে অন্য বিচারপতিকে মামলা শোনার জন্য নিয়োগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। শীর্ষ ন্যায়ালয়ের এই সিদ্ধান্তের পরই রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড়। তৃণমূল অতীতে একাধিকবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্যের সমালোচনা করে সরব হয়েছে। এমনকি বিরোধীদের দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার মতো অভিযোগও করা হয়েছে। এ দিনের সুপ্রিম সিদ্ধান্তের পর স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের শাসক দলের অন্দরে ‘স্বস্তির হাওয়া’। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের যেমন বক্তব্য, “বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিচারকের আসনের অপব্যবহার করে তাঁর রাজনৈতিক ইচ্ছা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। অনভিপ্রেত মন্তব্য করে একটি নির্দিষ্ট দলের প্রতি নেতিবাচক ভাবনা তৈরির চেষ্টা করেছেন, আমরা শুধু সেই অংশটুকুরই বিরোধিতা করেছি। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে সর্বভারতীয় তৃণমূল স্বাগত জানাচ্ছে।” অন্যদিকে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কোনও রাখঢাক না করেই বলেন, “সুপ্রিম সিদ্ধান্তে বাংলার মানুষ হতাশ।” এ দিকে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তের পর ‘দুঃখ’ প্রকাশ করেছেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ‘বঞ্চিতদের আশ্রয়দাতা’, ‘নির্ভীক যোদ্ধা’। নিয়োগ দুর্নীতিকে মান্যতা দেওয়া বিচারপতির পাশে দাঁড়িয়ে আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি, ‘আমরা রাস্তায় নামব’। একই সঙ্গে তাঁদের আর্জি, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পরিবর্তে যিনি মামলা শুনবেন, ‘তিনি যেন তাঁরই মতো মেরুদণ্ড সোজা রেখেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy