প্রতিবেদন: প্রিয়ঙ্কর, চিত্রগ্রহণ: সুব্রত, সম্পাদনা: বিজন
২০২২ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারির রাত। হাওড়ার আমতায় ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর এক বছরেরও বেশই সময় পার হয়ে গিয়েছে। আদালতে এখনও মামলা চলছে। পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দলের চার্জশিটে নাম রয়েছে আমতা থানার তৎকালীন ওসি, এক এএসআই, এক হোমগার্ড ও দুই সিভিক ভলান্টিয়ারের। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ খুন করেছে তাদের ছেলেকে। যদিও চার্জশিটের দাবি, হত্যা নয়, পুলিশের অভিযানের পর ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয় ছাত্রনেতার। বার বার দাবি সত্ত্বেও, সিবিআই তদন্তের আবেদনে সাড়া দেয়নি আদালত। ছেলের মৃত্যুর বিচার চাইতে এ বার জনতার দরবারে তাঁর বাবা সালেম খান। তৃণমূলকে হারাতে বদ্ধপরিকর বছর পঁয়ষট্টির এই প্রৌঢ় আমতা-২ ব্লকের কুশবেড়িয়া পঞ্চায়েতে বাম প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে নেমেছেন। হাতে তুলে নিয়েছেন রং-তুলি, লিখছেন দেওয়াল। সালেম বলেন, “আমার প্রার্থী হওয়ার কথা ছিল। রাজি হইনি। প্রার্থী হলে বাকি লড়াই কে লড়বে?” সালেম ভোটে না দাঁড়ালেও, প্রার্থী হয়েছেন আনিসের দাদা ও মামা। পঞ্চায়েত সমিতির ৪২ নম্বর আসনে প্রার্থী আনিসের দাদা সামসুদ্দিন, আর কুশবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯৬ নম্বর বুথে প্রার্থী হয়েছেন আনিসের মামা সাবির হোসেন খান। সাবির জানাচ্ছেন, প্রথমে তাঁরা সক্রিয় রাজনীতিতে আসার পক্ষপাতী ছিলেন না। কিন্তু সিপিএম নেতাদের আশ্বাস পেয়ে আনিস-হত্যার বিরুদ্ধে নতুন করে লড়াইয়ের ডাক দিতেই ভোটের ময়দানে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
কুশবেড়িয়া পঞ্চায়েতে ১৪টি আসন। বিদায়ী বোর্ডে সবগুলিই ছিল তৃণমূলের দখলে। এ বার সিপিএম-কংগ্রেস এবং আইএসএফ এখানে একজোট হয়েছে। ১৩টি আসনে সিপিএম এবং একটিতে কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে। আইএসএফ প্রার্থী না দিলেও তাঁদের কর্মীরাও সঙ্গে আছেন বলে দাবি সামসুদ্দিন-সালেমের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy