জাদু দেখানোর অছিলায় গ্রামবাসীদের সর্বস্ব লুটের অভিযোগ। সেই সঙ্গে গ্রামের এক বধূকে নিয়েও পালানোর অভিযোগও উঠেছে ওই জাদুকরের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বিষয়টি জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। ঘটনাটি পুরাতন মালদহ থানার সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শান্তিপুরের। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মালদহ থানার পুলিশ।
গ্রামবাসীদের একাংশের সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন সাতেক ধরে শান্তিপুরে জাদুর আসর বসিয়েছিলেন রাকেশ পাহাড়ি নামে বছর পঁচিশেকের এক যুবক। সাইকেলে খেলা দেখানোর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ভেল্কিও দেখাচ্ছিলেন তিনি। গ্রামবাসীদের তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন, জাদুর মাধ্যমে সোনা দ্বিগুণ করে দেওয়ার। সেই সূত্রে কারও কানের দুল, কারও হাতের বালা, নাকের দুল, আংটি তিনি চুরি করেন বলে অভিযোগ। এর পর রাকেশ তা নিয়ে চম্পট দেন বলে অভিযোগ। তাঁরই সঙ্গে নিখোঁজ হয়েছেন গ্রামের এক বধূও। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার পুরাতন মালদহ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন গ্রামবাসীরা।
যে যুবকের স্ত্রী নিখোঁজ তিনি আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘গ্রামে সাইকেল খেলা দেখানোর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের কলাকৌশল দেখাচ্ছিল ওই যুবক। অধিকাংশ মানুষই ওই যুবকের ভেল্কিতে বিশ্বাস করেন। কাউকে সে বলেছিল, সোনা দ্বিগুণ করে দেবে। আবার কাউকে বলেছিল, প্রচুর টাকাপয়সা হবে। এ ভাবে অনেকের টাকা এবং সোনার গয়না হাতিয়েছে ও। এরই মধ্যে আমার স্ত্রীর সঙ্গে যে ও সম্পর্ক তৈরি করেছিল, তা টের পাইনি। সুযোগ বুঝে বুধবার রাতেই আমার স্ত্রী, গ্রামবাসীদের সোনা এবং টাকা নিয়ে চম্পট দেয় ওই জাদুকর।’’
মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব জানিয়েছেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। এলাকাবাসীর মোবাইলে জাদুকরের ছবি দেখে পুলিশ সন্ধান চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি নদিয়া জেলায়। এ নিয়ে নদিয়া জেলার পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে।Post Copy: জাদুকরের ‘ভেল্কি’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy