প্রতিবেদন: প্রচেতা, সম্পাদনা: সৈকত
বাংলা ভাষাকে ভালবাসতেন। তার টানেই জেলার কলেজে পদার্থবিদ্যার পাঠক্রম ছেড়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা। পরিবারের নিশ্চিন্ত আশ্রয় ছেড়ে হস্টেল জীবনের ঝক্কি নিতে চেয়েছিলেন শুধু শহরের ‘এলিট’ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের পছন্দের বিষয় পড়তে পারবেন বলে। ভবিষ্যৎ নিয়ে কী স্বপ্ন দেখতেন প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুন্ডু? জানা হয়ে উঠল না। বুধবার রাতেই মেন হস্টেলের ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় নদিয়ার বগুলা থেকে পড়তে আসা মেধাবী যুবকের। সে দিনই প্রথম ক্লাস করেছিলেন স্বপ্নদীপ। বাড়িতে ফোন করে জানিয়েছিলেন ভাল লেগেছে। দ্বিতীয় দিন আর ক্লাসে যাওয়া হল না। হাসপাতাল থেকে রওনা দিলেন মর্গের উদ্দেশে, ‘রহস্যমৃত্যু’-র সূত্র সন্ধানে ময়নাতদন্ত হবে।
পরিবার অভিযোগ করছেন যাদবপুরে র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছিলেন স্বপ্নদীপ। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। ঘটা করে তৈরি হয় ‘অ্যান্টি-র্যাগিং’ কমিটিও। ক্যাম্পাসে কান পাতলে কিন্তু ‘দাদা’-দের হাতে ‘র্যাগ’ হওয়ার অনেক গল্প শোনা যায় এখনও। বৃহস্পতিবার যাদবপুরের ওই নিহত ছাত্রের এক সহপাঠী ফেসবুকে জানান মেন হস্টেলে তাঁর ‘বিভীষিকাময়’ অভিজ্ঞতার কথা। ভূতত্ত্ব বিভাগের প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রের ফেসবুক পোস্টেও র্যাগিংয়ের তত্ত্বই আরও বেশি জোরালো হচ্ছে। সহপাঠীর অকালমৃত্যুতে ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা। এ দিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই এই ঘটনায় কর্তৃপক্ষের দিকে আঙুল তুলেছে। বিবৃতি প্রকাশ করে তাঁদের প্রশ্ন, হস্টেলের সুপারের উপস্থিতিতে কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল। যাদবপুর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় এআইডিএসও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy