এই গরম থেকে খানিকটা স্বস্তি পেতে কাছেপিঠের কোনও শৈলশহর থেকে তো ঘুরে আসাই যায়। ছবি: ফাইল।
ছেলেমেয়েদের গরমের ছুটি পড়তে আর ক’দিন বাকি! তারই মধ্যে মাসশেষের সপ্তাহান্তে কিন্তু দু’দিন নয়, ১ মে থাকায় পর পর তিন দিন ছুটি পাওয়া যাবে। এই গরমে তিন দিনের ছুটি কি বাড়িতে বসেই কাটিয়ে দেবেন? হাতে সময় কম, তাই দূরে কোথাও যাওয়ার অবকাশ কম! তবে এই গরম থেকে খানিকটা স্বস্তি পেতে কাছেপিঠের কোনও শৈলশহর থেকে তো ঘুরে আসাই যায়। কর্মব্যস্ত জীবনে এমনিতেই পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ কম। হাতে খানিকটা সময় পেয়েছেন যখন, তখন অযথা বাড়ি বসে কী লাভ! কাছেপিঠে ঠান্ডার আমেজ পেতে কোনও শৈলশহরে যেতে পারেন। রইল কয়েকটি গন্তব্যের হদিস।
দারা গাঁও: পূর্ব হিমালয়ের অন্যতম সেরা ভিউ পয়েন্ট এই গ্রাম। অনেকেই এই গ্রামকে বলেন কাঞ্চনজঙ্ঘার ব্যালকনি। এখানকার হোমস্টের জানলা থেকেই দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘার গোটা রেঞ্জ। চোখ ভরে যাবে নীচে সর্পিল গতিতে বয়ে চলা তিস্তারও। রাতে কালিম্পং শহরের আলো যেন তারাভর্তি আকাশকে নামিয়ে আনে পাহাড়ের গায়। দারাগাঁও গ্রামটি আরও বিখ্যাত হয়েছে সিঙ্কোনা গাছের জন্য। পাহাড়ি গ্রামের পথের ধারে সারি দিয়ে রয়েছে সিঙ্কোনা গাছ। যার ছাল থেকেই তৈরি হয় কালাজ্বরের ওষুধ কুইনাইন। খুব বেশি ঘোরাঘুরি করে ক্লান্ত হতে না চাইলে সপ্তাহান্তে ছুটি কাটানোর আদর্শ ঠিকানা এই গ্রাম। ট্রেনে এনজেপি বা বিমানে বাগডোগরা। সেখান থেকে সড়কপথে দারা গাঁও। তিস্তা বাজার অবধি এলে দারা গাঁও হোমস্টে থেকেই গাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা আছে।
সান্তুক: গরম হোক কিংবা শীতকাল, পাহাড়ের এই অংশ ঘুরে আসার জন্য একদম আদর্শ। দার্জিলিং অথবা গ্যাংটক থেকে ফেরার পথে ঘুরে আসতে পারেন এই জায়গা থেকে। আবার দুই-তিন দিনের ছুটি থাকলে পরিবারের সঙ্গে ঘুরে আসতে পারেন সান্তুক থেকে। শহরের কোলাহল থেকে বহু দূরে, পাহাড়ের কোলে এই স্থানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। রেয়িং নদী এবং পায়ুং নদী ও পাহাড়ের মাঝে সুন্দর এই গ্রাম। ফার্ন, পাইনের বিশাল জঙ্গল, কাঞ্চনজঙ্ঘার অসাধারণ সৌন্দর্য মনমুগ্ধ করবে। কালিম্পং থেকে গা়ড়ি ভাড়া করে এই গ্রাম থেকে ঘুরে আসতে পারেন।
শ্রীখোলা: সান্দাকফু-ফালুটে ট্রেকিং করতে যেতে চাইলে পথেই পড়বে শ্রীখোলা। রিম্বিক থেকে খুব কাছে, মিনিট পনেরোর রাস্তা। প্রকৃতির সান্নিধ্যে এমন মনোরম পরিবেশে ছুটি কাটাতে মন্দ লাগবে না! এই জায়গায় গেলেই আপনাকে স্বাগত জানাবে শ্রীখোলা নদীর কলরব, নদীর উপরেই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে দু’শো বছরের পুরনো ঝুলন্ত ব্রিজ। অপূর্ব প্রাকৃতিক দৃশ্য আর তারই মাঝে ইতিউতি ছড়িয়ে কিছু কাঠের বাড়িঘর। বাড়িগুলি সুদৃশ্য কটেজের মতো দেখতে লাগে। সামনে ছোট ছোট ফুলের বাগান। নদীর ধারে গিয়ে কিছু ক্ষণ বসলে বিশুদ্ধ বাতাসে শরীর-মনের ক্লান্তি উধাও হবে। শ্রীখোলা গ্রামের মাঝেই রয়েছে একটি বৌদ্ধ মন্দির। সিঙ্গালীলা জাতীয় উদ্যানের পাদদেশে শ্রীখোলা গ্রামের অবস্থান। গ্রামের প্রান্তে রয়েছে বার্চ, পাইনের বন। গাড়ি ভাড়া করে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং চলে যান। দার্জিলিং থেকে আর একটা গাড়ি ভাড়া করে ঘণ্টা ছয়েকের মধ্যেই পৌঁছে যাবেন শ্রীখোলা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy