ত্রিপুরসুন্দরী মন্দির। ছবি: সংগৃহীত
সত্যজিৎ রায় পথের পাঁচালী ছবির শ্যুটিং করেছিলেন এখানে। কিন্তু এখন সেই গ্রামের আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। কালের নিয়ম মেনে গোটাটাই হয়ে গিয়েছে শহরতলি। কিন্তু এখনও যে স্থানটি একই অবিচল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে সেটি হল ত্রিপুরসুন্দরী মন্দির। বর্তমান মন্দিরটি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলেও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে ১৯৪০ সালে এখানে প্রাচীন মন্দিরের ধ্বংসস্তূপ খনন করা হয়। ঐতিহাসিকদের একাংশের মতে সেন বংশের রাজত্বকালে এই মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমান মন্দিরটি ন’টি চূড়া বিশিষ্ট ও বাহান্ন ফুট উঁচু। মন্দির সংলগ্ন অঞ্চলে একটি সংগ্রহশালা তৈরি করা হয়েছে। এখানে খনন কার্য থেকে প্রাপ্ত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলি রক্ষিত হয়েছে। এ ছাড়াও বোড়ালে রয়েছে বেশ কিছু দীঘি। তবে যাঁরা সত্যজিৎ রায়ের প্রেমে এখানে যেতে চান, তাঁরা কিছুটা হতাশ হতে পারেন। সত্যজিৎ রায়ের একটি আবক্ষ মূর্তি আর বিখ্যাত সেই জোড়া শিবের মন্দির ছাড়া আর প্রায় কিছুই নেই।
কী ভাবে যাবেন
কলকাতা থেকে বোড়ালে যাওয়ার সহজতম উপায় হল মেট্রো। মেট্রো ধরলে নামতে হবে কবি নজরুল স্টেশনে। সেখান থেকে অটোয় বোড়াল। কলকাতা শহরের যে কোনও প্রান্ত থেকে বাসে গড়িয়া মোড় পৌঁছে সেখান থেকে অটো ধরেও যাওয়া যেতে পারে। শিয়ালদহ থেকে যেতে চাইলে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ট্রেন ধরে গড়িয়া স্টেশনে নামতে হবে। স্টেশনের কাছ থেকে অটোয় গড়িয়া শীতলামন্দির, সেখান থেকে অটোয় চেপে যাওয়া যাবে বোড়াল।
মন্দির খোলার সময়
সকাল ৬টা মন্দির খোলার সময়। দুপুরে ভোগ নিবেদনের আগে পর্যন্ত খোলা থাকে মন্দির। বিকেল ৫টায় আবার খোলে এবং সন্ধ্যা ৭টায় আরতির পর বন্ধ হয়ে যায়।
কোথায় থাকবেন
এক দিনে ঘুরে আসাই সবচেয়ে ভাল। তবে এখানে সম্প্রতি একটি তীর্থযাত্রী নিবাস তৈরি হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy