পুদুচেরির কোন কোন সৈকতে যেতে পারেন? ছবি: সংগৃহীত।
সমুদ্র পছন্দ করেন। তাই সময়-সুযোগ পেলেই দিঘা বা পুরী চলে যান। তবে এই সব জায়গায় সারা বছরই পর্যটকদের ভিড়। কয়েকটা দিন নিরিবিলিতে কাটানোর জন্য ‘মেরিন ড্রাইভ’-এর চেনা হোটেল ছেড়ে ক্রমশ মোহনার দিকে এগিয়ে চলেছেন। কিন্তু সেখানেও শান্তি নেই। ফাঁকা রাস্তা পেয়ে সেখানেও হু হু গতিতে গাড়ি নিয়ে ছুটে আসেন পর্যটকেরা। সকাল-বিকেল হাঁটতেও ভয় লাগে। তা হলে সফেন সমুদ্র আর নিরিবিলি সৈকতের খোঁজে কোথায় যাবেন? দু-দণ্ড শান্তি পেতে ‘নাটোর’ ছুটতে হবে না, দেশের মধ্যে পুদুচেরি পর্যন্ত গেলেই হবে।
পুদুচেরির কোন পাঁচটি সৈকত থাকতে পারে পছন্দের তালিকায়?
১) অরোভিল বিচ:
পুদুচেরিতে অবস্থিত অরবিন্দ আশ্রমের কাছে রয়েছে এই অরোভিল সৈকত। স্বচ্ছ জল, শান্ত পরিবেশে কয়েকটা দিন কাটিয়ে আসতেই পারেন। একেবারে একা ঘুরতে চাইলেও অসুবিধে নেই।
২) প্রমেনাড বিচ:
প্রায় দেড় কিলোমিটার লম্বা পুদুচেরির এই সৈকত স্থানীয়দের কাছে বেশ জনপ্রিয়। মর্নিং ওয়াক, জগিং করার জন্য আদর্শ এই প্রমেনাড বিচ। হাঁটাহাটি করার পর যদি একটু চা খেতে ইচ্ছে করে, সে ব্যবস্থাও রয়েছে।
৩) প্যারাডাইস বিচ:
সাদা বালি, নীল জলরাশিতে ঘেরা এই সৈকত সত্যিই অন্য রক্ম। পুদুচেরিতে বেশ কিছু সৈকত রয়েছে। তার মধ্যে এটি অন্যতম পরিচ্ছন্ন সৈকত। চাইলে এখানে নানা রকম জলক্রীড়ায় অংশ নিতে পারেন। নৌকাবিহারের ব্যবস্থাও রয়েছে।
৪) করাইকল বিচ:
আরাসলার নদীর কাছে অবস্থিত করাইকল সৈকত তরুণদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। কারণ, অবশ্যই রকমারি ‘ওয়াটার স্পোর্ট্স’। আবার সাঁতার কাটার জন্যেও নিরাপদ করাইকল সৈকত।
৫) মাহে বিচ:
কুন্নুর শহরের কাছেই রয়েছে মাহে সৈকত। সাদা বালি ঘেরা সমুদ্রতট জুড়ে পামগাছের সারি। এই বিচ থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখার মতো। তাই এখানে ছবিশিকারীদের আনাগোনা দেখা যায় প্রায়ই। তবে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য এই সমুদ্র সৈকতের উপর বা আশপাশে খাবারের কোনও দোকান তৈরি করতে দেওয়া হয়নি। বাইরে থেকে খাবার কিনে এনে এখানে বসে খাওয়া যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy