আঁকাবাঁকা: চা-বাগানের মধ্য দিয়ে পাহাড়ি রাস্তা
কলকাতায় বসে দু’-তিন দিনের ছুটি পেলে মন ছুটে চলে যায় দার্জিলিং। কিন্তু সেখানে পাহাড়ের ছবি নয়, ভেসে ওঠে টুরিস্টের ভিড়, হই-হট্টগোল, ট্রাফিকে ঢাকা ধূসর দার্জিলিং। কিন্তু যদি দার্জিলিং মানে হয় ছোট্ট একটা পাহাড়ি গ্রাম, সুন্দর চা বাগান, কমলালেবুর খেত আর পাইনের বন! তার জন্য যেতে হবে দার্জিলিং থেকে একটু সরে তাকদার দিকে। অর্কিড ও পাহাড়ি ফুলের সমাহার যেখানে। আর ঘরের জানালা দিয়ে পিকচার পোস্টকার্ড কাঞ্চনজঙ্ঘা। এই পাহাড়ের উত্তর-পশ্চিম কোণে দার্জিলিং, পূর্ব দিকে ডেলো আর সিকিমের নামচি। চারদিকে সবুজ চা বাগান আর নীল আকাশের ক্যানভাস জুড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা। ঘোরার জন্য সবচেয়ে ভাল সময় অক্টোবরের শেষ থেকে নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত।
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ঘণ্টা চারেকের যাত্রায় পৌঁছনো যায় তাকদা টি-এস্টেট। পথের শেষ দিকে অবশ্য রাস্তা প্রায় নেই, শুধু পাথরের উপর দিয়ে গড়িয়ে যাওয়া। কোমরে ব্যথা বা স্পন্ডিলোসিস থাকলে এই রাস্তায় সাবধান। পরের দিন ভোর-ভোর উঠতে পারলে ঘরে বসেই দেখে নিতে পারেন কাঞ্চনজঙ্ঘার উপরে সূর্যের প্রথম আলো।
ব্রেকফাস্ট সেরে বেরিয়ে পড়ুন। পায়ে হেঁটে ঘুরে নিন আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ, ছবির মতো সুন্দর চা বাগান, কমলালেবুর খেত। চা-বাগানে বেশ খানিকটা সময় কেটে যায়। সেখানে ভোর হতে না হতেই মহিলারা চলেছেন চা পাতা তুলতে। পিঠে বড় ঝুড়ি, পরনে রঙিন পোশাক আর পায়ে গামবুট। রাস্তার ধারে ফুটে থাকা বুনো ফুল সেই সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দেয়। সেখান থেকেই ঘুরে দেখতে পারেন টি ফ্যাক্টরি। সেখানে চা প্রসেসিংয়ের বিভিন্ন ধাপ দেখা যায়। তবে টি ফ্যাক্টরিতে প্রবেশের জন্য আলাদা করে অনুমতি নিতে হয়।
অন্ধকার নেমে এলে উল্টো দিকের দার্জিলিং, ডেলো, সিকিমের পাহাড়গুলোর দিকে তাকালে মনে হবে যেন পাহাড়ের গায়ে ফুটে রয়েছে অজস্র নক্ষত্র। রাতটা যদি পূর্ণিমা বা তার পরের রাত হয়, তবে চাঁদের আলোয় দেখে নিন কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্য। তাকদায় মাত্র দু’রাত কাটালেই শহরের ক্লান্তি মুছে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy