পুদুচেরির সমুদ্র সৈকত হতে পারে এই বর্ষায় আপনার গন্তব্য। ছবি: আইবিইএফ, পুদুচেরি।
এক-একটি ঋতুতে প্রকৃতি এক-এক রকম রূপ ধারণ করে। তা সে পাহাড়ই হোক বা জঙ্গল। বর্ষায় তারা যেন আরও সবুজ, আরও সতেজ হয়ে ওঠে। সমুদ্র এমনিতেই বিশাল। বর্ষায় তা আরও ফুলে ফেঁপে ওঠে। শুধুমাত্র বর্ষার এই ভরভরন্ত রূপ দেখতে একই জায়গায় বার বার ছুটে যান প্রকৃতিপ্রেমীরা। তবে এই বর্ষায় আর পাহাড় কিংবা জঙ্গল নয়, যেতে চান সমুদ্রে। একে বর্ষা, তার উপর যদি বিশেষ কোনও কোটাল পড়ে যায়, সে সময়ে সমুদ্রে হয়ে ওঠে ফণাধারী নাগের মতো। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে পুরী এবং গোয়া ছাড়া অন্য আরও তিনটি সৈকতের হদিস রইল এখানে।
১) রক বিচ, পুদুচেরি
যেন গোটা পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন শান্ত, নিরিবিলি এই দ্বীপ পুদুচেরিতে। বিশ্বের সব শান্তি যেন সেখানে উজাড় করে দিয়েছে কেউ। তবে পুদুচেরিতে একাধিক বিচ রয়েছে। তার মধ্যে প্রমনেড সৈকতও খুব সুন্দর। স্থানীয়দের কাছে এটি ‘রক বিচ’ নামে বেশি পরিচিত। পাশেই রয়েছে অরোভিল বিচ। চাইলে অটো করে ঘুরে আসতে পারেন। রয়েছে অরবিন্দ এবং শ্রীমায়ের সমাধিও। ফরাসি খাবার খেতে লাগে? তা হলে তো আর কথাই নেই। এক সময়ে ফরাসি উপনিবেশ ‘হলুদ শহর’ এই পুদুচেরি বর্ষায় কয়েক দিনের ঠিকানা হয়ে উঠতেই পারে।
২) গোপালপুর অন সি, ওড়িশা
সপ্তাহান্তের অবসরের জন্য গোপালপুর-অন সি আদর্শ। তবে দিন দুই সময় হাতে থাকলে এখান থেকেই গাড়ি নিয়ে এক দিনের জন্য যাওয়া যায় চিল্কা হ্রদের দিকে। সৈকত ধরে হাঁটতে হাঁটতে চলে যাওয়া যায় লাইটহাউজ দেখতে। ১৫০টিরও বেশি সিঁড়ি ভেঙে উপরে উঠতে পারলে এক স্বর্গীয় দৃশ্যের সাক্ষী হয়ে থাকতে পারবেন। রম্ভা, চিল্কা হ্রদে নৌকাবিহার যেমন মনে থাকবে, তেমনই মুখে লেগে থাকবে সেখানকার চিংড়ি, কাঁকড়ার স্বাদ। হাতে আর এক দিন থাকলে যাওয়া যায় তপ্তপানির উষ্ণ প্রস্রবন ও চন্দ্রগিরি পাহাড় দেখতে। গাড়ি নিয়ে চলে যাওয়া যায় পাতিসেরনপুর সৈকত ও রুশিকন্যা নদীর মোহনা দেখতেও। তবে বঙ্গোপসাগর এখানে বেশ উত্তাল। তাই স্নান করতে চাইলে সাবধান।
৩) গোকর্ণ, কর্নাটক
আরব সাগরের উপকূলে কর্ণাটকের এই শহর মন্দির নগরী বলেই বেশি পরিচিত। গোকর্ণে একাধিক সমুদ্র সৈকত রয়েছে। তবে হাফ মুন বিচ এবং কুড়লি বিচ তুলনায় শান্ত, নিরিবিলি। দোকানপাঠও কম। একান্তে সময় কাটাতে চাইলে এই শহর পছন্দের তালিকায় থাকতেই পারে। কাছেই রয়েছে মহাবালেশ্বর মন্দির, গণপতি মন্দির, কোটি তীর্থ, মীরজান দুর্গ। চাইলে ঘুরে আসতেই পারেন এই সব পর্যটনকেন্দ্র থেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy