দারিংবাড়ি ভ্রমণের সাত সতেরো। ছবি: সংগৃহীত
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় তিন হাজার ফিট উচ্চতায় অবস্থিত শৈলশহর দারিংবাড়ি কার্যত প্রকৃতির কোলে লুকিয়ে থাকা এক প্রাকৃতিক বিস্ময়। ওড়িশার শৈলশহর দারিংবাড়িকে অনেকে বলেন ‘ওড়িশার কাশ্মীর’। অবিশ্বাস্য শোনালেও শীতকালে এখানে বরফ পড়তেও দেখা যায়। এপ্রিল-মে তে গেলে দরকার হতে পারে কম্বলের। ওড়িশা বললেই প্রথমে মাথায় আসে সমুদ্র শহর পুরীর কথা। সেই ওড়িশাতেই যে এমন একটি শৈল শহর লুকিয়ে আছে তা না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন।
কী দেখবেন?
শোনা যায় দারিং নামক এক সাহেব ব্রিটিশ আমলে এই ছোট্ট শৈলশহরটি প্রতিষ্ঠা করেন। যাঁরা নিরিবিলিতে কয়েকটি দিন পাহাড়ে কাটাতে চান তাঁদের কাছে আদর্শ গন্তব্য হতে পারে এই পর্যটনস্থলটি। মেঘ ও কুয়াশায় ঘেরা দারিংবাড়িতে রয়েছে পাইনের বন, কফির বাগান ও বেশ কয়েকটি পাহাড়ি জলপ্রপাত। রয়েছে লুদু জলপ্রপাত, মড়ুবান্দা জলপ্রপাত ও পুতুদি জলপ্রপাত। চারিদিক ঘন অরণ্যে আবৃত পুতুদি জলপ্রপাত সবচেয়ে জনপ্রিয়। ঘুরে দেখে নিতে পারেন দুলুরি নদীও। পাইন জঙ্গলের মধ্য দিয়ে সশব্দে বয়ে চলেছে স্রোতস্বিনী দুলুরি। চুপ করে বসে থাকলে কানে আসবে পাখির ডাক ও নদীর বয়ে চলার শব্দ। রয়েছে লাভার্স পয়েন্ট, সাইলেন্ট ভ্যালি, হিল ভিউ পার্ক ও গোলমরিচের বাগানের মতো একাধিক দর্শনীয় স্থান। চাইলে গাড়ি ভাড়া করে দেখে নিতে পারবেন সবকটিই। রয়েছে বন পরিক্রমা বা ফরেস্ট সাফারির ব্যবস্থাও।
কী ভাবে যাবেন?
ভুবনেশ্বরের বিজু পট্টনায়ক বিমানবন্দর থেকে দারিংবাড়ির দূরত্ব প্রায় ২৯০ কিলোমিটার। বরং তার থেকে সহজ রেলপথে কিংবা সড়কপথে যাওয়া। রেলপথে গেলে নামতে হবে ব্রহ্মপুর রেল স্টেশনে। এখান থেকে সড়কপথে যেতে হবে আরও ১৩০ কিলোমিটার। সড়কপথে যেতে চাইলে নিকটতম বাস স্ট্যান্ড ফুলবনি।
কোথায় থাকবেন?
আগে নির্দিষ্ট কিছু স্থান ছাড়া এখানে থাকার জায়গার বেশ অভাব ছিল। এখন অবশ্য এখানে বেশ কিছু বাংলো ও রিসোর্ট গড়ে উঠেছে। খাওয়া দাওয়ার বন্দোবস্তও সেখানেই। রয়েছে অরণ্যের মাঝে নেচার ক্যাম্পে থাকার ব্যবস্থাও। তবে সবই আগে থেকে ভাড়া করে যাওয়াই ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy