বিমানে বিশেষ আসন পাওয়ার টোটকাগুলি কী কী? ছবি- সংগৃহীত
বিমানে ওঠা মাত্রই সাধারণ ‘শ্রেণি’-র মানুষদের চোখ চলে যায় পর্দা টানা, পা রাখার একটু বেশি জায়গা রয়েছে এমন বিশেষ শ্রেণির দিকে। শখ করে এক-আধ বার দাম দিয়ে টিকিট কাটা গেলেও সব সময়ে কিন্তু এই সুবিধা পাওয়া সকলের পক্ষে সম্ভব হয় না। কিন্তু বিমানসেবিকাদের মতে, বহুমূল্যের টিকিট ছাড়াও কোনও কোনও যাত্রীর ক্ষেত্রে তাঁদের এই বিশেষ আসনটি দেওয়ার নির্দেশ থাকে। ওই সংস্থার বিমানে প্রায়ই যাতায়াত করেন এমন যাত্রী ছা়ড়াও কাদের ভাগ্যে থাকে সেই বিশেষ আসন?
তিনটি টোটকায় আপনিও ওই বিশেষ আসনের ভাগীদার হতে পারেন।
কখন জিজ্ঞাসা করবেন
বিশেষ সুবিধা পেতে গেলে আগে জানতে হবে, কখন এই সুবিধার কথা জিজ্ঞাসা করা উচিত। এক বিমানসেবিকা জানিয়েছেন, সিঁড়ি দিয়ে বিমানে ওঠা মাত্রই চেষ্টা করতে হবে, নিজের আসন ‘আপগ্রেড’ বা পরিবর্তন করার। তবে, নম্র এবং ভদ্র ভাবে। যথাযোগ্য কারণ দেখিয়ে তবেই অনুরোধ করা যেতে পারে। কিন্তু এক বার নিজের সংরক্ষিত আসনে বসে পড়ার পর, বা বিমান চলতে শুরু করলে তখন কিন্তু আর আসন পরিবর্তন করার সুযোগ থাকে না।
বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ
বিমানে প্রথম বার যাত্রা করলে বা সঙ্গে সদ্যোজাত, রোগী বা বয়স্ক কেউ থাকলে এই বিশেষ আসনটি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও বোর্ডিং পাস নেওয়ার সময়ে এবং বিমানে উঠেই নিজের সমস্যার কথা জানিয়ে দিতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, তা যেন শুধুমাত্রই অনুরোধের পর্যায়ে থাকে। বিমানসেবিকাদের সুবিধা-অসুবিধা বুঝে, তাঁদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করাও কিন্তু জরুরি।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
মাটি থেকে এত হাজার ফুট উচ্চতায় যাঁরা আপনার খেয়াল রাখছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকতে হবে। তবেই পরের বার ওই সংস্থার যাত্রী হিসাবে বিশেষ সুবিধাগুলি পাওয়ার জন্য আপনি মনোনীত হতে পারেন। অন্য যাত্রীর সঙ্গে বসা বা জিনিস রাখা নিয়ে সমস্যা হলে, তার রাগ কোনও ভাবেই যেন বিমানকর্মীদের উপর গিয়ে না পড়ে। যদি তাঁদের পোশাকে কোথাও নাম লেখা থাকে, প্রয়োজনে নাম ধরে ডেকে সুপ্রভাত বা শুভরাত্রি বলুন। এক স্থান থেকে অন্যত্র নির্বিঘ্নে পৌঁছনোর পর ধন্যবাদ জানিয়ে বিমান থেকে নামুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy