এই কোচের ছাদ এবং জানলা পুরোটাই কাচের তৈরি। ছবি: সংগৃহীত
গরমের ছুটি পড়ে গিয়েছে। লম্বা ছুটিতে কলকাতার গরমে না থেকে অনেকেই ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। বিমানে করে যেতে সময় কম লাগে, কিন্তু ট্রেনে চেপে যাওয়ার অনুভূতিই আলাদা। পরিবারের সকলে মিলে একসঙ্গে বেশ মজা করে যাওয়া যায়। এই বছর থেকে আইআরসিটিসি প্রায় ৪৫টি ট্রেনে বাড়তি সুযোগসুবিধা যুক্ত নতুন কিছু কোচ চালু করেছে। তার মধ্যে অন্যতম হল ‘ভিস্তাডোম’।
এই কোচের ছাদ এবং জানলা পুরোটাই কাচের তৈরি। পাহাড়ি অঞ্চল দিয়ে যাওয়ার সময়ে বাইরের প্রাকৃতিক দৃশ্য স্পষ্ট করে দেখার জন্যই মূলত এই ব্যবস্থা। এ ছাড়াও যাত্রীদের জন্য ওয়াইফাই-এর ব্যবস্থাও রয়েছে। এই কোচে বসার আসনগুলিও আরামদায়ক। সুবিধামতো ঘুরিয়ে নেওয়ার সুবিধা রয়েছে। ভিস্তাডোম কোচে চেপে আন্তঃরাজ্যে ভ্রমণের সুবিধা নেই। তবে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে দেখতে বেশ কয়েকটি জায়গায় ঘোরা যাবে এমন ট্রেনে চেপে।
‘ভিস্তাডোম’ কোচে চেপে কোথায় কোথায় বেড়াতে পারেন? রইল তালিকা।
১) ঘুম: দার্জিলিঙের কাছে এই ছোট্ট শহরটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকাভুক্ত। টয়ট্রেনের ভিস্তাডম কোচে চেপে দেড় ঘণ্টার যাত্রায় পাহাড় ঘেরা আর সবুজে মোড়া ঘুম শহরটি ঘুরে নিতে পারেন। কলকাতা থেকে প্রথমে ট্রেনে বা বিমানে চেপে নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছতে হবে। সেখানে থেকে টয়ট্রেনের ‘ভিস্তাডোম’ কোচে উঠে পাড়ি দিতে পারেন ঘুম।
২) পাতালপানি জলপ্রপাত: নিরিবিলিতে গরমের ছুটি কাটাতে চাইলে মধ্যপ্রদেশের পাতালপানি উপযুক্ত হতে পারে। তবে সফর আরও বেশি সুন্দর হয়ে উঠতে পারে যদি আপনি যাত্রা করেন ‘ভিস্তাডোম’ কোচে। সঙ্গে রাখুন একটি লম্বা দূরবিন। কাচের জানলা দিয়ে দূরবিনে চোখ রাখলেই হারিয়ে যাবেন রহস্যে মোড়া জলপ্রপাতে।
৩) জিরো ভ্যালি: অরুণাচলপ্রদেশের লোয়ার সুবানসিরি জেলার একটি ছোট সুন্দর পাহাড়ি অঞ্চল জিরো ভ্যালি। প্রায় ১৫০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই পুরনো শহরটি ঘুমের মতো ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় রয়েছে। জিরো ভ্যালির মনোরম সৌন্দর্য ঘুরে দেখতে আপনাকে চাপতে হবে ‘ভিস্তাডোম’ কোচে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy