অযোধ্যায় পর্যটক টানতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? ছবি: সংগৃহীত।
২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হতেই আরও জোরালো হয়েছে মন্দির উদ্বোধনের প্রস্তুতি পর্ব। শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের কর্মকর্তারা সম্প্রতি উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানের সময়সূচি প্রকাশ করেছেন। ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়েছে, রামের বিগ্রহটি এমন ভাবে স্থাপন করা হবে, যাতে রামনবমীর দিন সূর্যরশ্মি সরাসরি তার উপরে এসে পড়ে।
কী কী বিশেষ প্রস্তুতি থাকছে উদ্বোধনের দিন?
১) ঠিক দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে রামলালার বিগ্রহটি স্থাপন করা হবে।
২) কাশী থেকে পুরোহিতেরা আসছেন বৈদিক মন্ত্রপাঠ ও পুজো করতে।
৩) ওই দিন মন্দির প্রাঙ্গণে প্রায় ৭,৫০০ জন উপস্থিত থাকবেন। আমন্ত্রিতদের তালিকায় ৫০০০ জন সাধুসন্ত রয়েছেন।
৪) এ ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন বেশ কয়েক জন শিল্পী, বিজ্ঞানী, শিল্পপতি ও উদ্যোগপতি।
৫) সকলকেই প্রসাদ হিসাবে দেওয়া হবে লাড্ডু।
৬) রামের মোট তিনটি বিগ্রহ তৈরি করা হয়েছে, এর মধ্যে থেকেই একটি বিগ্রহ চূড়ান্ত করা হবে স্থাপনের জন্য।
৭) ২৩ তারিখ সকাল থেকে সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য খোলা হবে মন্দির প্রাঙ্গণ।
রামমন্দিরই শুধু নয়, অযোধ্যায় পর্যটকদের ভিড় আরও বাড়িয়ে তুলতে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ ত্বরান্বিত করা হয়েছে। পর্যটক টানতে এ বার অযোধ্যায় জাদুঘর নির্মাণে উদ্যোগী হয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পরামর্শের পর এই প্রকল্পের জন্য ২৫ একর জমিও চিহ্নিত করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ সরকারের আশা, এই মিউজিয়াম দেখতে রাম জন্মভূমিতে আরও বেশি ভিড় জমাবেন পর্যটকরা। এ ছাড়া, অন্যান্য প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে রাম চরিত মানস এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার। এই সেন্টারে রামের জীবনকাহিনি সুন্দর ভাবে চিত্রিত করা হবে। থাকছে অযোধ্যা হাট এবং অযোধ্যা অ্যারোসিটির মতো প্রকল্প। পদ্মফুলের আকারে একটি মেগা মাল্টিমিডিয়া ফাউন্ডেশন পার্কও তৈরি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রামমন্দিরের আদলে নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে অযোধ্যা স্টেশন। জানুয়ারি মাসেই নতুন রূপে স্টেশনটির উদ্বোধন করা হবে।
প্রায় ১৪০৭ একর জমিতে তৈরি হয়েছে অযোধ্যায় নতুন উপনগরী। সেই উপনগরীতে থাকবে মন্দির, আশ্রম, হোটেল-সহ সরযূ নদীর জলপূর্ণ বিরাট কৃত্রিম লেক। এই উপনগরীটি গড়ে উঠবে লখনউ-গোরাখপুর হাইওয়ের দুই ধারে, গোণ্ডা ও বসতি জেলার অন্দরেই তৈরি হবে এই উপনগরী। অযোধ্যায় ছোট-বড় লজ, হিন্দু আশ্রম থাকলেও বড় কোনও হোটেল সে ভাবে নেই। ফলে এই নতুন উপনগরীতে বিলাসবহুল ভাবে থাকতে পারবেন অনুরাগীরা, এমনটাই মনে করছে সরকার।
রামমন্দিরের উদ্বোধনের সময়ে প্রতি দিন প্রায় ১ লক্ষ দর্শনার্থী অযোধ্যায় উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন আশ্রম, লজ, ছোট হোটেলে প্রায় ৮০ শতাংশ ঘরে অগ্রিম বুকিং করেছেন দর্শনার্থীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy