Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪
Picnic spot near Kolkata

কান পাতলেই পাখির কলতান, সঙ্গে নৌকাবিহার! সপ্তাহান্তের ছুটি কাটানোর ঠিকানা হোক চুপির চর

নবদ্বীপ থেকে সামান্য দূরে পূর্বস্থলীর চুপি গ্রামে শীতকালে পরিযায়ী পাখির দল ভিড় জমাতে শুরু করে। নভেম্বরের শেষ বা ডিসেম্বরের গোড়া থেকেই শুরু হয়ে যায় তাদের আনাগোনা।

নবদ্বীপ থেকে সামান্য দূরে পূর্বস্থলীর চুপি গ্রামে শীতকালে পরিযায়ী পাখির দল ভিড় জমাতে শুরু করে।

নবদ্বীপ থেকে সামান্য দূরে পূর্বস্থলীর চুপি গ্রামে শীতকালে পরিযায়ী পাখির দল ভিড় জমাতে শুরু করে। ছবি: নেচার ইন ফোকাস।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ ১৮:৩১
Share: Save:

বছরের শেষে পরিবারের সঙ্গে কাছেপিঠে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন? শহুরে কোলাহল থেকে নিস্তার চাইলে আপনার গন্তব্য হতেই পারে চুপির চর। নবদ্বীপ থেকে সামান্য দূরে পূর্বস্থলীর চুপি গ্রামে শীতকালে পরিযায়ী পাখির দল ভিড় জমাতে শুরু করে। নভেম্বরের শেষ বা ডিসেম্বরের গোড়া থেকেই শুরু হয়ে যায় তাদের আনাগোনা। পরিযায়ী পাখিদের মধ্যে রয়েছে অসপ্রে, রুডি শেলডাক, স্মল প্রাটিনকোল, রিভার ল্যাপ উইং, গ্রে হেরন, পার্পল হেরন, রেড ক্রেস্টেড পোচার্ড, গ্রিন বি ইটার। শীত পড়লেই মধ্য ও উত্তর এশিয়া, ইউরোপ, তিব্বত, সাইবেরিয়া থেকে পরিযায়ী পাখিদের কেউ কেউ যেমন আসে, তেমনই আবার এই রাজ্যের উত্তরবঙ্গ থেকেও কয়েক প্রজাতির পাখি চলে আসে তুলনায় উষ্ণ দক্ষিণ বা মধ্য বঙ্গে খাবারের খোঁজে কিংবা এবং প্রজননের প্রয়োজনে।

ভাগীরথীর অন্যতম একটি শাখা যা অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ হয়ে গঙ্গাবক্ষে মিশেছে। সেই হ্রদই এখন পর্যটন কেন্দ্র। শান্ত নদী, একেবারে স্রোতহীন মনোরম পরিবেশ। স্বচ্ছ হ্রদের জলে সবুজ জলজ উদ্ভিদের দেখা মেলে নৌকা থেকেই। পাখির কলতান আর মাঝির দাঁড় টানার শব্দই জায়গাটির মূল আকর্ষণ। গঙ্গার এক প্রান্তে কুয়াশায় ঢাকা মায়াপুর মন্দির, অপর প্রান্তে সবুজ কচুরিপানায় মোড়া এই হ্রদ। প্রকাণ্ড আমবাগান, চারটি কটেজ, দু’টি গেস্ট হাউস আপাতত তৈরি। চাইলে পিকনিকও করতে পারেন সেখানে।

ছবি তোলার শখ থাকলে এই জায়গা আদর্শ। কাছ থেকে পাখি দেখা ও ছবি তোলার জন্য নৌকায় চড়ে হ্রদের বুকে ভেসে পড়তেই পারেন। জলাশয়ের কোন কোন এলাকায় কোন কোন পাখি দেখার সম্ভাবনা বেশি, তা মাঝিরাই ভাল জানেন। একটি নৌকায় দু’জন করে চড়তে পারবেন। ঘন্টাপিছু ভাড়া ১৫০ টাকা। হ্রদের পার থেকেও পাখি দেখার সুযোগ মিলতে পারে। তবে নৌকায় চড়ে হ্রদের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কাছ থেকে পাখি দেখা, ছবি তোলার রোমাঞ্চ ও মজাই আলাদা।

হাতে একটু সময় থাকলে এখান থেকেই ঘুরে আসতে পারেন নবদ্বীপ, কৃষ্ণনগর আর মায়াপুর থেকে। আর না চাইলে একটি দিন পাখিদের সঙ্গে কাটিয়ে দিতেও মন্দ লাগবে না। ফেরার পথে কালনার ১০৮ শিবমন্দির আর হংসেশ্বরী মন্দিরেও ঢুঁ মারতে পারেন।

কাছ থেকে পাখি দেখা ও ছবি তোলার জন্য নৌকায় চড়ে হ্রদের বুকে ভেসে পড়তেই পারেন।

কাছ থেকে পাখি দেখা ও ছবি তোলার জন্য নৌকায় চড়ে হ্রদের বুকে ভেসে পড়তেই পারেন। ছবি: নেচার ইন ফোকাস।

কী ভাবে যাবেন?

হাওড়া কিংবা শিয়ালদহ থেকে কাটোয়া লাইনের ট্রেনে চড়ে পৌঁছে যান পূর্বস্থলী স্টেশন। সেখান থেকে চুপি কাষ্টশালি পাখিরালয়ে, টোটোতে। অথবা কলকাতা থেকে সরাসরি গাড়িতে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে ধরে সরস্বতী ব্রিজ পার করে কালনা হয়ে সমুদ্রগড়ের পর পূর্বস্থলী স্টেশন, সেখান থেকে কাষ্টশালি বাজার, তার পর পাখিরালয়।

কোথায় থাকবেন?

রাত্রিবাসের পরিকল্পনা থাকলে থাকতে পারেন চুপি কাষ্টশালি পাখিরালয়তে। বুকিংয়ের জন্য যোগাযোগ করতে হবে চুপি কাষ্টশালি পাখিরালয়ে (পূর্বস্থলী)। ফোন করতে হবে ৯০৭৩৫৬৫৭২৩ নম্বরে।

অন্য বিষয়গুলি:

picnic spot Kolkata Winter
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE