তৎকালেও নিশ্চিত আসন পাবেন, কিছু কৌশল শিখে নিন। ফাইল চিত্র।
শীতের সময়ে ঘুরতে যেতে মন আনচান করেই। কিন্তু সমস্যা হয় ছুটি পেতে। অফিসে ছুটি নিশ্চিত করে, সন্তানের স্কুল-কলেজ সামলে যত দিনে ভ্রমণের পরিকল্পনা করবেন, তত দিনে ট্রেনের টিকিট পাওয়ার আশা ছেড়েই দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে হাতে থাকে একটাই উপায়। তৎকাল টিকিট কাটা। কিন্তু সঠিক পদ্ধতি জানা না থাকলে তৎকালেও নিশ্চিত টিকিট পাওয়া সহজ নয়। অবশ্য কিছু নিয়ম যদি জানা থাকে, তা হলে কোনও সমস্যাই হবে না।
অনলাইনে কী ভাবে তৎকালের টিকিট কাটবেন?
সবচেয়ে আগে আইআরসিটিসি-র অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। লগ ইন করে খুব তাড়াতাড়ি টিকিট কাটতে হবে। যে দিন আপনি যাবেন, তার ঠিক আগের দিন তৎকালের টিকিট কাটতে হবে। তবে তার জন্য নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। দিনের যে কোনও সময়ে তৎকালের টিকিট কাটা যাবে না।বাতানুকূল কামরায় টিকিট পেতে হলে লগ ইন করতে হবে সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটের মধ্যে। আর যদি স্লিপারের টিকিট কাটতে হয়, তার জন্য ১০টা ৫৭ মিনিটে লগ ইন করতে হবে। এর পর কোথা থেকে কোথায় যাবেন, তা লিখে সাবমিট করুন। তার পর অপেক্ষা করুন। আইআরসিটিসি-র তৎকাল বুকিং শুরু হওয়া মাত্রই টিকিট বুক করতে হবে।
টিকিটের দাম
তৎকালে টিকিটের দাম সাধারণ টিকিটের দামের থেকে বেশি। প্রথম শ্রেণিতে তৎকালে টিকিট বুক করতে হলে, সাধারণ টিকিটের চেয়ে ৩০ শতাংশ দাম বেশি নেয় আইআরসিটিসি। দ্বিতীয় শ্রেণির ক্ষেত্রে দাম অন্তত ১০ শতাংশ বেশি হয়।
তৎকালেও নিশ্চিত আসন পেতে কী করণীয়
খুব তাড়াতাড়ি টিকিট বুক করতে হবে। তৎকালে বুকিং শুরু হওয়া মাত্রই যদি টিকিট বুক করেন, তা হলে নিশ্চিত আসন পাবেন। তার জন্য কয়েকটি কাজ করতে হবে। আগে থেকেই নাম, বয়স-সহ বিস্তারিত তথ্য আইআরসিটিসি ওয়েবসাইট বা অ্যাপে রেখে দেবেন। ‘মাই প্রোফাইল’-এ গিয়ে ড্রপডাউনে ‘মাস্টার লিস্ট’ পাওয়া যাবে। সেখানেই সম্ভাব্য যাত্রীদের নামের তালিকা তৈরি করা যায়। টিকিট না কাটলেও আগে থাকতে যাত্রীদের নাম, লিঙ্গ, বয়স, কেমন আসন ও কেমন খাবার পছন্দ, তা জানিয়ে রাখা যায়।
একই ভাবে আগে থেকে ‘ট্রাভেল লিস্ট’ বানিয়ে রাখা যায়। সেটিও ‘মাই প্রোফাইল’ অংশে থাকে। মাস্টার লিস্ট থেকে কোন কোন যাত্রী সফর করবেন, তা সহজে বেছে নেওয়ার সুবিধাও রয়েছে। এই তালিকা আগেই বানিয়ে রাখলে তাড়াহুড়োর সময়ে সকলের নাম, বয়স ইত্যাদি লিখতে যে সময়টা যায়, তা বাঁচানো যাবে।
টিকিটের দাম মেটানোর পদ্ধতির জন্যও যে সময় লাগে তা-ও বাঁচাতে পারবেন। কী ভাবে? অনলাইনে কার্ডে বা ইউপিআই-তে, যে ভাবেই টাকা দিন না কেন, তা আগে থেকে নথিভুক্ত করে রাখার সুবিধা রয়েছে। তা ছাড়াও ভাড়ার টাকা আইআরসিটিসি-র ওয়ালেটে রেখে দেওয়া যায়। সেখান থেকে টাকা নিয়েই সঙ্গে সঙ্গে ভাড়ার টাকা মেটানো সম্ভব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy