ইউরোপে মধুচন্দ্রিমার স্বপ্ন দেখেন অনেক জুটি। কিন্তু বিয়ের খরচের পর এক ধাক্কায় অনেক বেশি বেড়ানোর খরচ দিতে পারেন না বেশির ভাগ মধ্যবিত্ত। কিন্তু অনেকেই ভুল যান, সঠিক পরিকল্পনায় অনেক সাংসারিক খরচ যেমন বাঁচানো সম্ভব, তেমনই ঠিক সময়ে ছুটির পরিকল্পনা করলে দিব্যি কম খরচে বিদেশ ভ্রমণও সম্ভব। ইউরোপের কিছু দেশ ঘোরা ভারতীয়দের জন্য যতটা খরচসাপেক্ষ, অনেক দেশ ততটা নয়। আর যদি জানা থাকে কোন মাসে গেলে আরও কম খরচে ঘোরা যাবে, তা হলে তো কেল্লাফতে!

পর্তুগাল

নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝে যদি যেতে পারেন, তা হলে বিমানের ভাড়া, থাকা-খাওয়া, ঘোরা— সব খরচই কম হবে। তা ছাড়াও পর্তুগালের অনেক পর্যটন কেন্দ্র দেখা যায় বিনামূল্যে।

হাঙ্গারি

শীতের সময়ে অফ সিজন থাকে এ দেশে। তাই ঘোরার খরচ অনেক কমে যায়। গ্রেট মার্কেট হল থেকে সস্তায় কেনাকাটা করতে পারেন। তিহানি আর বুখ পাহাড়ে নানা রকম রোমাঞ্চকর খেলাধুলো করতে পারবেন কম খরচে। হাঙ্গারিতে বেশির ভাগ বাইরের পর্যটন কেন্দ্র দেখা যায় বিনামূল্যে।

বুলগেরিয়া

গরমের সময়টা বাদ দিয়ে বাকি মাসগুলি আপনি দিব্যি ঘুরে আসতে পারেন বুলগেরিয়া। পকেটে সে ভাবে টানও পড়বে না। বুলগেরিয়ার মধ্যে যানবাহনের খরচ খুব বেশি নয়। শহর ছাড়াও এ দেশে গ্রাম-গঞ্জে ঘুরতে ভালই লাগবে।

রোমানিয়া

প্রচুর পায়ে হেঁটে ট্যুর রয়েছে এ দেশে, যা বিনামূল্যেই ঘুরে দেখতে পারেন। বেশির ভাগ পর্যটন কেন্দ্র বিনা খরচে কিংবা খুবই কম খরচে ঘুরতে পারেন। একটু বেশি দূরত্বে ঘোরার জন্য এখানে সাইকেল ভাড়া পাওয়া যায়। কম খরচে ধীরে-সুস্থে নিজের সুবিধা মতো বেড়ানোর জন্য সাইকেলের কোনও বিকল্প নেই।

চেক রিপাব্লিক

অনেকেই মনে করেন, চেক রিপাব্লিকে ঘোরার খরচ কম নয়। কিন্তু জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে যেতে পারলে বেশ কম খরচে ঘুরতে পারবেন। পয়সা খরচে করে গাইড নিয়ে ঘুরবেন কেন? বেশির ভাগ পর্যটন কেন্দ্র কিন্তু দেখা যায় বিনামূল্যে। তাই ফোনের গুগ্‌ল ম্যাপ খুলে নিজেরাই ঘুরুন।

আলবেনিয়া

এ দেশ নিয়ে বেশির ভাগ লোকের খুব একটা উৎসাহ নেই। কিন্তু মনোরম সমুদ্রতটে এখানেও কম খরচে থাকতে পারবেন। এপ্রিল থেকে জুন মাসে থাকার খরচ কম। শীতে গেলে আরও কম।

এস্টোনিয়া

এ দেশও যে কম খরচে ঘোরা যায়, অনেকেই জানেন না। কিন্তু রাজধানী টালিনের বাইরে সব শহর দেখতে পারবেন কম খরচে। সব জাতীয় উদ্যান এখানে বিনামূল্যে ঘোরা যায়। ঘরের বাইরের নানা রোমাঞ্চকর অভিযান যদি আপনাকে টানে, তা হলে এ দেশে ঘুরে আসতে পারেন কম খরচেই।

স্লোভেনিয়া

জুন থেকে অগস্ট ভিড় বেশি থাকে, খরচও বেশি হয় ঘোরার। কিন্তু এপ্রিল-মে মাসে গেলে অনেক ফাঁকায় ফাঁকায় ঘুরে আসতে পারবেন। থাকা-খাওয়ার খরচও কম হবে।