কারও কাছে শুধু বেড়ানো নয়, এ জন্য ব্যাগ গোছানোতেও জুড়ে থাকে আনন্দ। মিশে থাকে আসন্ন ভ্রমণের উত্তেজনা।
তবে ব্যাগ গোছানো শিল্পের চেয়ে কম নয় মোটেই। যাঁরা সেই কৌশল জানেন, তাঁরা প্রয়োজনীয় সব কিছুই ভরে ফেলতে পারেন একটি রুকস্যাক অথবা ট্রলিতে। আর তা না জানলেই ঝক্কি! জিনিসপত্র নিতে নিতে একটার বদলে একাধিক ব্যাগ হয়ে যায়। ব্যাগ গোছানোর সময় ছোটখাটো ভুল কিন্তু অনেকেই করে ফেলেন। কোন ভুলগুলি এড়িয়ে চলবেন?
১. সাবান, শ্যাম্পু, ময়েশ্চারাইজ়ারের বড় বড়ে কৌটো নিয়ে ব্যাগ বোঝাই করছেন? একটু ভাল মানের হোটেলে থাকলে এ সব কিন্তু সেখানেই দেওয়া হয়। ফলে এক বা দু’দিনের জন্য গেলে এই জিনিসগুলি নিতেই হবে এমনটা নয়। তবে নির্দিষ্ট কোম্পানির প্রসাধনী সাবান, শ্যাম্পু ব্যবহার করলে আলাদা কথা। সে ক্ষেত্রে বড় বোতলের বদলে, ছোট ছোট কৌটোয় ভরে নিন।
২. অনেক সময় দেখা যায় বেড়াতে গিয়ে সকাল, বিকাল পরার জন্য একগাদা পোশাক নিলেন। অথচ পরাই হল না। টুকিটাকি হাজারটা জিনিস ভরেন অনেকেই, যেগুলির হয়তো কাজ থাকে না। অতিরিক্ত জামা নেওয়ার প্রবণতা, অপ্রয়োজনীয় জিনিস প্রথম থেকেই বাদ দেওয়া দরকার। দু’টি জিন্স বা পছন্দের প্যান্ট নিয়ে তার সঙ্গে পরার জন্য টপ, কুর্তা, টি-শার্ট বেশ কয়েকটি নিতে পারেন। এতে পোশাক একঘেয়ে লাগবে না আবার বাড়তি জিনিস বইতেও হবে না। বেড়াতে গিয়ে পোশাক কুঁচকে গেলে সাজটাই মাটি হবে। ফলে এমন পোশাক বাছাই করুন যেটি স্বল্প জায়গায় আঁটবে এবং ব্যাগের চাপাচাপিতে কুঁচকে যাবে না।
৩. বিমানে যেতে হলে ব্যাগে বা ট্রলিতে নিজস্ব লেবেল লাগাতে ভুলবেন না। একই রকম রঙের ট্রলি একাধিক থাকে। অনেক সময় তাড়াহুড়োয় নিজের ব্যাগ চিনতেও ভুল হয়ে যায়। আবার একই ভুল অন্যেও করতে পারেন। এই ধরনের ঝক্কি এড়াতে দূর থেকে চোখে পড়ে এমন কোনও কিছু ব্যাগ বা ট্রলিতে লাগিয়ে রাখুন। সেটা কোনও ফিতে, চাবির রিং বা অন্য কোনও চিহ্ন হতে পারে।
আরও পড়ুন:
৪. জামাকাপড়, টাকাপয়সা জরুরি জিনিস একটি ব্যাগে না রেখে সঙ্গে রাখা হাতব্যাগে এবং ট্রলি বা স্যুটকেসে ভাগ করে নিতে পারেন। বিমানে একটি ব্যাগ নিজের সঙ্গে রাখা যায়। ওজনে ভারী ব্যাগটি স্ক্যান হওয়ার পর চলে যায় বিমানের ভিতরে মালপত্র রাখার নির্দিষ্ট জায়গায়। অনেক সময় সেই ব্যাগপত্র হারিয়ে যায় বা সময়ে এসে পৌঁছয় না। আবার হাতের ব্যাগের বিষয়ে যতই সচেতন থাকুন, কখনও যে সেটি খোয়া যেতে পারে না তা নয়। তাই জরুরি জিনিস ভাগাভাগি করে রাখতে পারেন।
৫. প্রয়োজনীয় জিনিসের তালিকা তৈরি করে নিন গোছগাছের আগেই। সমস্ত জিনিস ব্যাগে ভরার পর এক বার শেষ মুহূর্তে তালিকা ধরে মিলিয়ে নেওয়া জরুরি। যে ভুলটি অনেকেই করেন। অনেকেই দীর্ঘ ক্ষণ ধরে গোছগাছ করার পর গন্তব্যে পৌঁছে দেখেন বাদ চলে গিয়েছে প্রয়োজনের জিনিসটি। সবটাই যে সেখান থেকে কিনে নেওয়া যাবে, এমনটা নয়।