দলের দুঃসময়ে সিনিয়রদের দায়িত্ব নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন বাংলার ক্যাপ্টেন মনোজ তিওয়ারি। পারলেন না সিনিয়ররা। পারলেন না মনোজ নিজেও। বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশের কাছে পাঁচ উইকেটে হেরে জাতীয় ওয়ান ডে টুর্নামেন্ট বিজয় হাজারে ট্রফি থেকে ছিটকে গেল বাংলা। জুনিয়ররা ভাল পারফরম্যান্স দেখালেও সিনিয়ররা পারলেন না। বাংলার দেওয়া ২৬৩-র টার্গেট তিন ওভার এক বল বাকি থাকতেই তুলে ফেলল মধ্যপ্রদেশ।
বৃহস্পতিবারের ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচের আগে বাংলা শিবিরে শোনা গিয়েছিল সিনিয়রদের দায়িত্ব নেওয়ার কথা। মনোজ তিওয়ারি নিজেই বলেছিলেন, ‘‘এ রকম পরিস্থিতিতে সিনিয়রদের দায়িত্ব নিতে হবে।’’ কিন্তু মনোজ নিজে এবং ঋদ্ধিমান সাহা, লক্ষ্মীরতন শুক্ল, অশোক দিন্দা, মহম্মদ শামি, প্রজ্ঞান ওঝারা কেউই এ দিন দায়িত্ব নিয়ে বাংলাকে জেতাতে পারলেন না। অভিমন্যু, সায়ন, সুদীপদের চেষ্টা বিফলে গেল।
টস হেরে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছিল বাংলা। প্রথমে ব্যাট করা নিয়ে বাংলা শিবিরে ভাল রকম মানসিক প্রস্তুতিও ছিল বলে শোনা গিয়েছিল। বরং মনোজ আগের দিন বলেছিলেন, প্রথমে ব্যাট করে বিপক্ষের উপর বড় রান চাপানোর স্ট্র্যাটেজি তাঁদের মাথায় ছিল। সেই স্ট্র্যাটেজি অনুযায়ী খেলাটাই ছিল বাংলার কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। যে জায়গাটা নিয়ে সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তায় ছিল টিম ম্যানেজমেন্ট, সেই ওপেনিং স্লটে অভিমন্যু ঈশ্বরন ও সায়নশেখর মণ্ডল এ দিন শুরুটা মোটেই খারাপ করেননি।
সকালের শিশিরভেজা স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় ঈশ্বর পাণ্ডে, পুনিত ডাটে, জলজ সাক্সেনাদের সামলে দুই ওপেনার ১০৬-এর পার্টনারশিপ গড়েন ২১.৪ ওভারে। অভিমন্যু যখন পাঁচ রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরির সুযোগ নষ্ট করে ফিরে যান, তখন ঋদ্ধি-মনোজ-লক্ষ্মীরা যেটা করতে পারতেন, তার ছিটেফোঁটাও পারলেন না। বাংলা কুড়ি ওভারের মধ্যে ১০৬-০ থেকে ২০৪-৫ হয়ে যায়। সৌজন্যে ঋদ্ধিমানের ১৮, মনোজের ৩, লক্ষ্মীর ১০।
সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ও পঙ্কজ সাউরা যথাক্রমে ৩১ ও ২৮ করে ডুবন্ত জাহাজের হাল ধরার চেষ্টা করলেও সফল হননি। সুদীপ রান আউট হয়ে ফিরে যাওয়ার পরও পঙ্কজ ক্রিজে থেকে দলকে আড়াইশোর গণ্ডী পার করানোর দায়িত্ব নেন।
বোলিংয়েও ব্যাটিংয়ের মতোই অবস্থা। শুরুটা ভাল করেও মুখ থুবড়ে পড়া। মধ্যপ্রদেশকে ৭-২ করে দেওয়ার পরও তা ধরে রাখতে না পারা। রজত পাটিদার (৬৩) ও হরপ্রীত সিংহ ভাটিয়ার (৭১) ১৩৫-এর পার্টনারশিপের আঘাতেই বাংলার লড়াই অর্ধেক শেষ হয়ে যায়। বাকি কাজটুকু করেন আনন্দ সিংহ (৫৪*), বেঙ্কটেশ আয়ার (৩১) ও পার্থ সাহানি (৩১*)। দিন্দা (২-৩৫), শামি (১-৪০), ওঝা (১-৫৫), গনিরা (১-৪৮) মোটেও কার্যকরী হয়ে উঠতে পারলেন না।
এ দিন গ্রুপের অন্য ম্যাচে উত্তরপ্রদেশ গোয়াকে হারিয়ে শেষ আটে পৌঁছে গেল। বাকি একটি জায়গার জন্য লড়াই হিমাচল ও মধ্যপ্রদেশের মধ্যে। শুক্রবার এই দু’দলের মুখোমুখিতে যারা জিতবে, তারাই নক আউটে চলে যাবে। শুক্রবারের বাংলা-সৌরাষ্ট্র ম্যাচ নেহাতই নিয়মরক্ষার জন্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy