(বাঁ দিকে) বেঙ্গালুরুর আত্মঘাতী যুবক অতুল সুভাষ। অতুলের স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়া (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
বেঙ্গালুরুর ইঞ্জিনিয়ার অতুল সুভাষের আত্মহত্যার মামলায় জামিন পেয়েছেন তাঁর স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়া, শাশুড়ি নিশা এবং শ্যালক অনুরাগ। অতুলকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গত মাসে তিন জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। কিন্তু জামিন মিললেও খারিজ হল না অভিযোগ। সোমবার এফআইআর খারিজের দাবিতে নিকিতাদের আবেদন খারিজ করে দিল কর্নাটক হাই কোর্ট।
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন নিকিতা ও তাঁর পরিজনেরা। শনিবার সেই আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক। এর পর এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন নিকিতা। তাঁদের যুক্তি, বেআইনি ভাবে তাঁদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের অপরাধের সপক্ষেও কোনও প্রমাণ নেই। সোমবার ওই মামলার শুনানিতেই খারিজ হয়ে গিয়েছে নিকিতার আবেদন। আদালতে একক বে়ঞ্চের যুক্তি, সমস্ত প্রাথমিক প্রমাণগুলি চলমান তদন্তকে সমর্থন করে। তাই এখনই অভিযোগ খারিজ হবে না। তবে আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে আদালতে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ জমা করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
গত ৯ ডিসেম্বর ভোরে বেঙ্গালুরুর ফ্ল্যাট থেকে অতুলের দেহ উদ্ধার হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টার ভিডিয়ো ছাড়াও ২৪ পাতার একটি সুইসাইড নোট রেখে যান অতুল, যার ছত্রে ছত্রে স্ত্রী নিকিতা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে নানা গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। অতুলের ‘সুইসাইড নোট’ প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরের পারিবারিক আদালতে অতুল-নিকিতার বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছিল। অতুলের পরিবারের অভিযোগ, মামলা চলাকালীন টাকা আদায় করতে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে অস্বাভাবিক যৌনতা, পণ চাওয়া, বধূ নির্যাতন এবং খুনের চেষ্টার মতো নানা গুরুতর অভিযোগে অতুলকে ফাঁসানো হয়। নিকিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করেন তাঁরা। মামলা রুজু হয় ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৮ এবং ৩ (৫) ধারায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy