সংবর্ধনার প্রস্তুতি। শনিবার সকালে প্রোগ্রাম স্ট্যান্ডের সামনে সুনীল গাওস্কর। ডেট্রয়েটে। ছবি গৌতম ভট্টাচার্য
শিবাজি পার্ক জিমখানা আর দাদার ইউনিয়ন হল প্রকৃতগত ভাবে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল। কাউন্টিতে যেমন ইয়র্কশায়ার-ল্যাঙ্কাশায়ার। তেমনই মুম্বইয়ের ঘরোয়া ক্রিকেটে এরা। মুম্বই ক্রিকেটের গরিমা অনেকটাই গিয়েছে কিন্তু এই ম্যাচ ঘিরে পারস্পরিক তীব্রতা যেন কমার নয়। নইলে ডিনার টেবলের ভরপুর মজলিসের মধ্যেও অজিত ওয়াড়েকর আর কারসন ঘাউড়ি কেন আলোচনায় ব্যস্ত হয়ে পড়বেন যে, দাদার ইউনিয়নের টস কয়েনটা পরীক্ষার সময় এসেছে। হিন্দি সিনেমার পোকা ঘাউড়ি বললেন, ‘‘নির্ঘাৎ ওদেরটা শোলের কয়েনের মতো। দু’দিকেই হেড। নইলে বারবার এক জিনিস হতে পারে না।’’
ওই ডিনার টেবলের শেষ প্রান্তে বসে আছেন দাদার ইউনিয়নের বর্তমান কর্মকর্তা দিলীপ বেঙ্গসরকর। কয়েক মাস আগে বেঙ্গসরকরের আমন্ত্রণে প্রাক্তনীদের নিয়ে একটা বিশেষ প্রদর্শনী ম্যাচ খেলতে গিয়েছিল শিবাজি পার্ক জিমখানা। কুড়ি ওভার করে। এই পঁচাত্তর বছর বয়সেও সেখানে মাঠে নেমেছিলেন অজিত ওয়াড়েকর। বিরাশি বছরের মাধব আপ্তে। সুনীল গাওস্কর আম্পায়ারিং করেন। ম্যাচের শেষে ছিল সঞ্জয় মঞ্জরেকরের গান। দারুণ মজলিস আর প্রীতি ম্যাচের আবহেও অতিথি টিমের মধ্যে যে একটা জিনিস সে দিন খচখচ করছিল আজ এত মাস বাদে বোঝা গেল। ‘‘ওরা সে দিনও কী করে টস জিতল?’’ বক্তা দ্রুত একমত হয়ে গেলেন, পন্টিংয়ের টস তুলে দেওয়ার প্রস্তাবটা দারুণ। তা হলে দাদার ইউনিয়ন নিজের মাঠে টস জেতার সুযোগ পাবে না। পন্টিং তো বলেইছে অ্যাওয়ে ম্যাচ যে খেলবে, টস তার। অভিযুক্ত শিবিরের নেতা ডিনার টেবলে বসা বেঙ্গসরকর জবাব দেওয়ার প্রয়োজনই মনে করছেন না, ‘‘ধুর, বলছে বলুক।’’
একাত্তরের সেই সোনার সময়ে চোখ অজিত ওয়াড়েকরের।
(নীচে) ডিনার টেবলে বেঙ্গসরকর, যজুবেন্দ্র, চৌহানরা। ছবি: গৌতম ভট্টাচার্য, অঞ্জন মিত্র।
ফারুখ ইঞ্জিনিয়ারকে ততক্ষণে ট্রয় শহরের সবচেয়ে হাইএন্ড রেস্তোরাঁর বাংলাদেশি ওয়েটার জিজ্ঞেস করতে এসেছে, স্যর রেড ওয়াইন না হুইস্কি? ইঞ্জিনিয়ার বললেন, ‘‘সিঙ্গল মল্ট।’’ চোখ টিপে বললেন, ‘‘ড্রেসিংরুমের কোডটা মনে আছে তো? সিঙ্গল মল্ট, ডাবল বেড।’’ এর পর ঘাউড়িকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘‘হ্যাঁ রে, সরফরাজ নওয়াজের সেই গল্পটা জানিস তো? সেই মহিলা সই নিতে এল?’’ ঘাউড়ি মাথা নাড়াচ্ছেন, ‘‘বিলক্ষণ জানি। সরফরাজ সই দিতে দিতে বলল, হবি কী? মেয়েটি বলল, বেড়ানো। তখন সরফরাজ দারুণ অফার দিয়ে দিল বেড়াতে যাওয়ার। সুন্দরী তুমি যদি আমার হোটেল রুম অবধি ট্র্যাভেল করো, তোমার না লাগবে কোনও পাসপোর্ট না ভিসা।’’ ঘাউড়ি গল্পটা শেষ করার পর বরাবরের আমুদে ইঞ্জিনিয়ারের প্রশ্ন, ‘‘আমাদের টিমে কে কে সরফরাজের গল্পটা ব্যবহার করেছে?’’ মুহূর্তে ঘাউড়ি-সহ সবাই চুপ। তার পর দমফাটা হাসি।
ও দিকে চেতন চৌহানের পিছনে তখন লাগা চলছে, লিলি খেলা কঠিন না দিল্লি ক্রিকেট সংস্থায় থাকা? দু’বারের সাংসদ চেতন বলছেন, ‘‘ডিডিসিএ-র মতো ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ড কোথাও হয় বলে আমি মনে করি না। সে দিন তো আমার অনুগামীদের নিয়ে চপ্পল দিয়ে প্যাঁদালাম এক জনকে।’’
ভাগবত চন্দ্রশেখর সব শুনছেন আর মিটিমিটি হাসছেন। তাঁকে ওয়াড়েকর জিজ্ঞেস করলেন, ‘‘তুই যে সত্তর মাইল স্পিডে বল করতি আজকের উইকেটকিপাররা হলে তোর জন্য স্টাম্পের সামনে দাঁড়াতে ক’টা হেলমেট পরত?’’ চন্দ্র হাসতে শুরু করার মধ্যেই ইঞ্জিনিয়ার উত্তর দিয়ে দিয়েছেন, ‘‘দু’টো পরত। পরেও লেগ সাইডে চন্দ্র-র ফাস্টার ওয়ান ধরতে পারত না।’’
চন্দ্র শুধু যোগ করলেন, ‘‘মডার্ন ক্রিকেট যত দেখি তত ওর কথা ভাবি। বিষেণও সে দিন আমায় বলছিল, কী করে হেলমেট ছাড়া মার্শাল-হোল্ডিং খেলত কে জানে। আমার রেটিংয়ে তাই সচিনের চেয়ে ও সব সময় আগে।’’ ‘ও’ বা ‘ওর’ যাঁর সম্পর্কে বলা হচ্ছে, সেই সুনীল গাওস্করের কথাটা শোনার উপায় নেই।
কারণ তাঁকে প্রবাসী অনুরাগীরা ঘিরে জিজ্ঞেস করে যাচ্ছেন, এত গোটা পৃথিবী চক্কর মেরেও তিনি এমন মেদহীন শরীর রেখেছেন কী করে? দু’দিন আগেই ক্যালিফোর্নিয়ায় ছিলেন গাওস্কর। সেখান থেকে ইংল্যান্ড ফিরে যান। বিশ্ব একাদশের ম্যানেজারি করতে। তার পর আবার ফ্লাইট নিয়ে ফের অতলান্তিক অতিক্রম করে এখানে হোটেলে পৌঁছে এক ঘণ্টার মধ্যে ফের জিমে। ওয়াড়েকর বললেন, ‘‘সানি তুই এত ঘুরলে আমাদের স্পোর্টস ফিল্ড বাড়িটাকে কে দেখবে রে?’’ গাওস্কর হাসেন তাঁর প্রথম ক্যাপ্টেনের দিকে, ‘‘জানি না।’’
শুধু তো হাসি নয়, হাসির আড়ালে লুকিয়ে থাকা বেদনাও রয়েছে ছোট ছোট খাঁজে। অসুস্থ জগমোহন ডালমিয়াকে নিয়ে উদ্বেগ আর আশঙ্কা তো আছেই। তার ওপর আবার পদ্মকর শিভালকর সামনে বসা। আস্ত রঞ্জি ট্রফি ফাইনাল যিনি কিনা বোলিং নৈপুণ্যে শেষ করে দিয়েছিলেন দু’দিন আর একটা বলে। ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে তাঁর ৫৮৯ উইকেটকে কেন ছ’শোয় নিয়ে গিয়ে খেলা ছাড়লেন না জিজ্ঞেস করায় তাঁর বেদনার্ত মনোভাব লুকোনোর কোনও চেষ্টা নেই, ‘‘তাতেও কি ওরা আমাকে দেশের হয়ে খেলাত?’’ ঘরোয়া ক্রিকেটের এক সময়ের ত্রাস শিভলকর এখন খুচখাচ কোচিং করেন আর গান গেয়ে সংসার চালান।
গান নির্বাচনেও নাকি কিশোর বা রফির সব দুঃখের গান। প্রিয় প্যাডিকে অবশ্য এখানে সারাক্ষণ দেখাশোনা করে যাচ্ছেন বাকি আট জন টেস্ট ক্রিকেটার। টেস্টের দু’ইনিংসে যাঁর সবচেয়ে বেশি ক্যাচ ধরার রেকর্ড আটত্রিশ বছর পর সে দিন শ্রীলঙ্কা সিরিজে ভাঙল সেই যদুবেন্দ্র সিংহের বাঙালি স্ত্রী লিনা আর মানালি বেঙ্গসরকর খেয়াল রাখছেন এত বড় সমাবেশে কোথাও যেন শিভলকরের কোনও অস্বস্তি না হয়।
এতক্ষণ বলা হয়নি ভারতীয় ক্রিকেটের প্রাক্তন সব নক্ষত্র নিয়ে এই উদ্দাম রিইউনিয়ন উৎসব ঘটছে ক্রিকেটের সঙ্গে তথাকথিত আড়ি থাকা মার্কিন মুলুকে। ডেট্রয়েট শহরতলির ট্রয়ে। এখানেই ভারতীয় সময় সোমবার সকালে সংবর্ধিত হবে ওয়াড়েকরের একাত্তরের যুগ্ম-সিরিজ জয়ী দল। একাত্তরের ওই জোড়া সিরিজ জয়কে আজও বলা হয়, ভারতীয় ক্রিকেটের রেনেসাঁ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইংল্যান্ডের মাঠে তখনকার বিশ্বের এক নম্বর টিম ইংল্যান্ড। অথচ আজ পর্যন্ত ভারতীয় বোর্ড বা কোনও সংস্থা এই টিমকে পুরস্কৃত করার কথা ভাবেনি। তিরাশির বিশ্বজয়ী টিমকে যা ভুগতে হয়নি।
সেই সময় একটা গোটা সফর থেকে রোজগার হত দেড়-দু’হাজার টাকা। বিদেশে ভাতা থাকত দিনে এক পাউন্ড। তাই এত সাফল্যের কোনও মর্যাদা না পাওয়ার তীব্র অভিমানও থেকে গিয়েছে সেই টিমের মধ্যে। ওয়াড়েকর এ দিন বলছিলেন, ‘‘প্রাইজ মানি পেয়েছিলাম দেশে ফিরে গোটা কুড়ি বালা।’’ কিন্তু টিমের সদস্যরা বুঝতে চাননি, কেউ কেউ সরাসরি বিদ্রোহ করেছিলেন।
যেমন বিষেণ বেদীর সঙ্গে প্রকাশ্যে হাতাহাতির পর্যায়ে গিয়েছিল তাঁর ক্যাপ্টেনের ঝগড়া। খোদ ইংল্যান্ডের চুয়াত্তরের সফরে বসে। যে তুমি কেমন ভেড়া ক্যাপ্টেন যে তার পর দেশে এমসিসিকে হারিয়ে টানা তিনটে সিরিজ জয়ের পরেও আমাদের জন্য কিছুই আনতে পারোনি। উত্তপ্ত ওয়াড়েকর পাল্টা বলেছিলেন, ‘‘এ সব নোংরা অভিযোগ করছ। তোমরা এক এক জন হলে পটৌডির লোক।’’
পঁয়তাল্লিশ বছর বাদে ওয়াড়েকরের এক গুণগ্রাহী এবং ক্রিকেটারদের ঘনিষ্ঠ ট্রয়বাসী বাঙালি ইঞ্জিনিয়ার তাঁদের সংস্থার সামর্থ অনুযায়ী একাত্তরের টিমকে সম্মান জানানোর ব্যবস্থা করেছেন। ট্রয়ের সান মারিনো ক্লাবে হবে এই অনুষ্ঠান। আমেরিকায় এই সব অনুষ্ঠানে শহরের মেয়র বা সেনেটরকে ডাকা হয়ে থাকে। এখানে সে সব কিছুই হচ্ছে না। যাতে পুরো মনযোগটা ক্রিকেট এবং ক্রিকেটারদের ওপর থাকে। বিশাল কোনও প্রচার করা হয়নি অনুষ্ঠান ঘিরে। যদিও প্রবাসী কিছু ক্রিকেট উৎসাহী ওয়াশিংটন, বা তিন ঘণ্টা মোটর দূরত্বের ওয়াহিও থেকে চলে এসেছেন। বলিউডের এক সময়কার নিয়মিত অভিনেতা পল্লবী জোশীর দাদা অলঙ্কার জোশীকে যেমন দেখলাম বেঙ্গসরকরের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন। সব মিলিয়ে হাজার খানেক দর্শক অনুষ্ঠান দেখবে। উদ্যোক্তারা কোথাও যেন চাইছেন, এই সব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ক্রিকেটের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনতে।
একাত্তর জয়ীদের সংবর্ধনা কেন পঁয়তাল্লিশে, পঞ্চাশে নয়, জিজ্ঞেস করায় মুখ্য সংগঠক বললেন, ‘‘আর পাঁচ বছরে ক’জনকে পেতাম জানি না বলে।’’ ওই টিমের ইতিমধ্যে পাঁচ জন বিয়োগ ঘটেছে। সারদেশাই, সোলকার, জয়সীমা, কৃষ্ণমূর্তি, অশোক মাঁকড়। বাকিরাও অনেকে টলমল। বিশ্বনাথের আসার কথা ছিল। কিন্তু মারাত্মক জন্ডিস আবার তাঁর শরীরে ঘুরে এসেছে। প্রসন্ন ভিসা সমস্যায় আটকে যান। সেলিম দুরানি এত দীর্ঘ বিমানযাত্রা করতে পারবেন না। তাই আধা-খ্যাঁচড়া টিম আনতে হয়েছে।
আশির দশকের প্লেয়াররা কেন? বেঙ্গসরকর, ঘাউড়ি, চৌহানের মতো যাঁরা সেই টিমের অংশ নন? যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থার প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ক্রিকেট নিয়ে এখনও তৎপর মধ্য সত্তরের পি কে গুহ বললেন, ‘‘সত্তর জিততে শিখিয়েছিল। আশি সেই ভিতকে আরও মজবুত করে তাই।’’
ট্রয় ভারতীয় ক্রিকেটে একটা আবছা তাৎপর্য বহনকারী। দশ বছর আগের এ বারের উদ্যোক্তার বাড়িতে বসেই গ্রেগ চ্যাপেল তাঁর চাকরির দরখাস্ত আর কী করতে যাচ্ছেন, তার ব্লু প্রিন্ট মেল করেছিলেন ভারতীয় বোর্ডকে। যা শুনে এক প্রাক্তন তারকা কঠিন মুখে জিজ্ঞেস করলেন, ‘‘গ্রেগ আবার ফাংশনে থাকছেন না তো?’’
শুনে মনে হচ্ছিল, কোথাও গিয়ে যেন মাঠের সাদা পোশাকটা এঁরা দৃশ্যতই তুলে রেখেছেন। ক্রিকেট থেকে তখন টাকা রোজগার করা যেত না। স্রেফ আত্মার তৃপ্তিতে খেলতে হত বলেই বোধহয় অভ্যেসটা সিস্টেমে থেকে গিয়েছে। মনের কানাচে আজও এঁরা কেউ ব্যাট করেন। কেউ বল করেন। কেউ ডাইভ দিয়ে ক্যাচ ধরেন।
এঁদের পুনর্মিলন উৎসব তো পঁয়তাল্লিশ বছর বাদেও রংবাহারি হওয়ারই কথা! সে যে মুলুকেই ঘটুক!
মিশিগানে ছন্দপতন
নিজস্ব সংবাদদাতা • ডেট্রয়েট
মিশিগান ক্রিকেট সংস্থার কর্তারা ভারতীয়দের এই সংবর্ধনায় অন্যতম স্পনসর। কথা ছিল শনিবার দুপুরে তাঁদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ক্রিকেটাররা যাবেন আর রোববার দিন তাঁরা অন্যতম স্পনসর হিসেবে জমিয়ে অনুষ্ঠান দেখবেন। সেই মতো হোটেল থেকে বেরিয়েও পড়েছিলেন চেতন চৌহান, বেঙ্গসরকর, ওয়াড়েকর, গাওস্কর এবং ইঞ্জিনিয়ার। কিন্তু হঠাৎই ভারতীয় বোর্ডের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকা প্রাক্তনরা যেন এই অনুষ্ঠানে না যান। খবরটা প্রথম আসে ডিডিসিএ ভাইস প্রেসিডেন্ট চেতন চৌহানের কাছে। তাঁকে ভারতীয় বোর্ডের তরফে কেউ জানান, যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থাকে যেহেতু আইসিসি সাসপেন্ড করে রেখেছে, তার অধীনত্ব কোনও ক্রিকেট সংস্থার অনুষ্ঠানে যাওয়া যাবে না। পাঁচ জনের মধ্যে ওয়াড়েকর আর ইঞ্জিনিয়ার বাদে সবাই বোর্ডের সঙ্গে জড়িয়ে। বোর্ডের বক্তব্য হল, যেহেতু বোর্ড আইসিসির সদস্য দেশ, তার নিয়মাবলী অনুযায়ী এই অনুষ্ঠানকে তারা স্বীকার করতে পারে না। রোববার রাতের অনুষ্ঠান নিয়ে বোর্ডের কোনও সমস্যা নেই। ওটা সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র বোর্ডের ব্যানারে হচ্ছে না। তার আয়োজন করছে মূলত বাঙালিপুষ্ট প্রবাসী ভারতীয়দের গোষ্ঠী। ওয়াড়েকর সব শুনে দুঃখিত ভাবে মাথা নাড়লেন, ‘‘এই একটা ছোট অনুষ্ঠান নিয়ে এত নাটক করার কী দরকার ছিল? তোমরা তো ভাই আমাদের সম্মান জানাওনি। এরা অন্তত কিছুটা হলেও তো করেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy