নতুন মরসুমে আর লাল-হলুদ জার্সি পরতে চাইছেন না এডে চিডি। তাঁর লক্ষ্য ডেম্পো বা বিদেশের কোনও দল। দলবদলের বাজারে হঠাৎ-ই ঢেউ তুলে দিতে নাইজিরিয়ান স্ট্রাইকার মঙ্গলবার বোমা ফাটিয়ে দিলেন। বলে দিলেন “আমি আর ইস্টবেঙ্গলে খেলব না। ক্লাবের কোনও কর্তাই আমার সঙ্গে এখনও কথা বলেনি। তবে বললেও আমি এখানে থাকব না।” কথা বলার সময় যথেষ্ট উত্তেজিত শোনায় শান্ত স্বভাবের ফুটবলারটির গলা।
নতুন মরসুমে র্যান্টি মার্টিন্সের সঙ্গী হিসেবে চিডিকে চাইছেন কোচ আর্মান্দো কোলাসো। তা হলে হঠাৎ-ই চিডি বেঁকে বসলেন কেন? দলবদলের বাজারে দর বাড়ানোর জন্যই কি এই মন্তব্য? ফোনে কথা বলে অবশ্য সেটা মনে হল না। টাকা-পয়সা নয়, দু’বছর ধরে ইস্টবেঙ্গলে খেলা স্ট্রাইকার বরং বলে দিলেন, “এ বারও ইস্টবেঙ্গলের দল নির্বাচন ঠিক হচ্ছে বলে আমি মনে করি না।” সঙ্গে যোগ করেন, “২০১২-’১৩ সালে ইস্টবেঙ্গলের যে দলটা ছিল সেটাই সেরা দল ছিল। কিন্তু ২০১৩-’১৪-তে মাঝ-মাঠের কোনও প্লেয়ার ছিল না। মেহতাবের চোট থাকায় স্ট্রাইকারদের বল বাড়ানোর কেউ ছিল না। যে জন্য এই মরসুমে সে ভাবে গোল করতেই পারিনি। এ বার ইস্টবেঙ্গলে তিন জন স্ট্রাইকার ছিলআমি, মোগা, সুয়োকা। যা পরিস্থিতি দাঁড়াচ্ছে তাতে এ বারও সে রকমই কিছু ঘটতে চলেছে। আমার সেটা ঠিক মনে হচ্ছে না, তাই আমি থাকব না।”
ইউনাইটেড স্পোর্টসের বিরুদ্ধে নামার আগের দিন যে স্ট্রাইকার র্যান্টির সঙ্গে খেলার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। বলে দিয়েছিলেন, “র্যান্টির আর আমার জুটি আশা করছি সফলই হবে।” সেই চিডিই একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে গেলেন কেন? হঠাৎ করে কেনই বা প্রশ্ন তুললেন, “ইতিমধ্যেই র্যান্টির সই হয়ে গেছে। অথচ আমি তো ইস্টবেঙ্গলে খেলছি। তবু কিন্তু আমাকে কেউ কিছু বলেনি।”
ইস্টবেঙ্গল ফুটবল সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্য অবশ্য বললেন, “আমরা দু’একদিনের মধ্যেই চিডির সঙ্গে চুক্তি নিয়ে কথা বলব।”
ক্লাব-সূত্রের খবর, র্যন্টি-চিডির সঙ্গে লাল-হলুদ কর্তারা টোলগের দিকেও ঝুঁকে রয়েছেন। সোমবার আই লিগের শেষ ম্যাচ খেলেই কলকাতায় চলে এসেছেন ডেম্পোর অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকার। টোলগের সঙ্গে নাকি এক প্রস্ত কথাও হয়েছে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের। টোলগেকে নিলে আবার তিন জন স্ট্রাইকার হয়ে যাবে লাল-হলুদে। আর এখানেই শোনা যাচ্ছে প্রবল আপত্তি রয়েছে চিডির। এ দিনও বার বার তিন জন স্ট্রাইকারের উল্লেখ করে হয়তো এ কথাই বোঝাতে চেয়েছেন একশো গোলের মালিক।
ইস্টবেঙ্গলে না থাকলে কোথায় যাবেন চিডি? কোনও ক্লাবের সঙ্গেই এখনও চূড়ান্ত কোনও কথা হয়নি জানাচ্ছেন ক্ষুব্ধ নাইজিরিয়ান। “ডেম্পোর সঙ্গে আর্থিক চুক্তিতে পোষালে ওখানেই যাব। নয়তো ভারতের বাইরে কোনও ক্লাবে খেলব। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলে নয়।” চিডি ক্ষুব্ধ হয়ে অন্য ক্লাবে যেতে চাইলেও সুয়োকার যাওয়ার জায়গা নেই কোথাও। ইস্টবেঙ্গলের জাপানি মিডিও বলে দিলেন, “আমার সঙ্গে এখনও কোনও ক্লাবের সে ভাবে কথা হয়নি। কেউ আমাকে ডাকেনি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy