দীর্ঘদিন পর অবশেষে স্পনসর পেতে চলেছে বাংলার রঞ্জি দল। আসন্ন মরসুম থেকে লক্ষ্মীরতন শুক্ল, মনোজ তিওয়ারি, অশোক দিন্দাদের পোশাকে সম্ভবত স্পনসরদের লোগো দেখা যাবে।
রঞ্জি ট্রফির প্রধান দলগুলির প্রায় সবারই স্পনসর থাকলেও এত দিন বাংলার জন্য কোনও স্পনসর জোগাড় করতে পারেনি সিএবি। নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে বাংলা দলের স্পনসর থাকলেও গত দশ বছর বাংলা দলের জন্য কোনও স্পনসর ছিল না। বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক সংস্থার সঙ্গে কথা হলেও শেষ পর্যন্ত তা চূড়ান্ত হয়নি। এমনকী স্পনসর আনার জন্য গত বছর রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে চেয়ারম্যান করে বিপণন কমিটি গড়েও কোনও স্পনসর জোগাড় হয়ে ওঠেনি।
আগামী সপ্তাহে স্পনসরশিপের এই নতুন চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার কথা। শোনা যাচ্ছে, নামী এই ভারতীয় বাণিজ্যিক সংস্থার সঙ্গে সিএবি-র চুক্তির অঙ্ক বছরে প্রায় দু’কোটি টাকারও বেশি। আপাতত তিন বছরের চুক্তি হতে চলেছে তাদের সঙ্গে। বিনিময়ে বাংলার ক্রিকেটারদের জার্সিতে তাদের লোগো তো থাকবেই। এমনকী বাংলার ক্রিকেটারদের এই পরিচিত ব্র্যান্ডের বিভিন্ন প্রচার অনুষ্ঠানে এবং অ্যাড ফিল্মেও দেখা যেতে পারে।
গত বছর ঘরোয়া ক্রিকেটে বাংলা দলের পারফরম্যান্সের পর স্পনসরশিপ পাওয়ার সম্ভাবনা আরও কমে গিয়েছিল। তা সত্ত্বেও এত দিনে সেই অভাব ঘুচতে চলেছে বলে সিএবি সূত্রের খবর। কয়েক দিন আগে দেশের এক বিখ্যাত ক্রীড়াসরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে ক্রিকেটারদের সাজ-সরঞ্জাম সরবরাহের চুক্তি হয়েছে সিএবি-র। এ বার পুরো দলের জন্য স্পনসরও পেতে চলেছে তারা।
সম্প্রতি সিএবি-র আর্থিক ঘাটতি সত্ত্বেও স্থানীয় লিগে ও জেলার ক্রিকেটে অভূতপূর্ব পুরস্কার মূল্য ও ইনসেন্টিভ ঘোষণা করায় বিস্ময় প্রকাশ করেছিল সিএবি-র একাংশ। স্পনসরশিপ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা এলে অবশ্য সেই প্রাইজ মানি ও ইনসেন্টিভ দিতে আর কোনও সমস্যা হবে না বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy