Advertisement
২৮ নভেম্বর ২০২৪
আজ আইএসএল ফাইনাল

ফিকরুদের এক ইঞ্চি জমিও ছাড়া যাবে না

ছ’মাস আগে প্রস্তুতি শুরুর সময়ই আমরা জেনে গিয়েছিলাম ফাইনালটা গোয়ায় হতে চলেছে। তখনই নিজেদের লক্ষ্যটা স্থির করে নিয়েছিলাম। ঘরের মাঠে ফাইনাল যখন, তখন সেই ফাইনালে খেলতেই হবে। ছ’মাস আগে শুরু হওয়া সেই অভিযান আজ শেষ হতে চলেছে। এবং শেষটা আজ কেমন হবে, তা আমাদের উপরই নির্ভর করছে।

গোয়ার সমুদ্রসৈকতও টিমের সমর্থনে সরব।

গোয়ার সমুদ্রসৈকতও টিমের সমর্থনে সরব।

জিকো
শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৫ ০২:৫৬
Share: Save:

ছ’মাস আগে প্রস্তুতি শুরুর সময়ই আমরা জেনে গিয়েছিলাম ফাইনালটা গোয়ায় হতে চলেছে। তখনই নিজেদের লক্ষ্যটা স্থির করে নিয়েছিলাম। ঘরের মাঠে ফাইনাল যখন, তখন সেই ফাইনালে খেলতেই হবে।

ছ’মাস আগে শুরু হওয়া সেই অভিযান আজ শেষ হতে চলেছে। এবং শেষটা আজ কেমন হবে, তা আমাদের উপরই নির্ভর করছে।

ফাইনালে পৌঁছনোর আগে সেমিফাইনালে দিল্লি আমাদের যে চ্যালেঞ্জটা ছুড়ে দিয়েছিল, সেটা মারাত্মক। এক মুহূর্তেও মনে হয়নি যে, আমাদের পক্ষে ম্যাচটা সহজ হয়ে উঠছে। বিশেষ করে দ্বিতীয় লেগে তো আরওই না। তা সত্ত্বেও যে আমাদের ছেলেরা কঠিন পরিস্থিতি সামলে শেষ পর্যন্ত সাফল্য আনতে পেরেছে, এটাই ওদের কৃতিত্ব। বরাবরই আমার বিশ্বাস ছিল, ওরা যদি ওদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারে, তা হলে প্রথম লেগের হারের ক্ষতিপূরণ করে এগিয়ে যেতে পারে। তা ছাড়া জানতাম ঘরের মাঠে সমর্থকরা আমাদের পাশেই থাকবেন। তাদের সমর্থনকে সম্বল করে বিপক্ষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে পারলেই জেতা সম্ভব। সেটাই হল। প্রথম গোলটা হয়ে যাওয়ার পর আমরা আর পিছন দিকে ফিরে তাকাইনি।

আমাদের ফুটবলারদের লড়াকু মানসিকতাই ওদের জিততে সাহায্য করল। জেতার এই প্রবল ইচ্ছাটাই আমাদের এতদূর নিয়ে এসেছে এবং আজ ফাইনালেও সাহায্য করবে। প্রতিটি ম্যাচ গিয়েছে আর আমাদের আত্মবিশ্বাস একধাপ করে বেড়েছে। বুঝতেই পারছেন, লিগের ১৪টা ম্যাচ আর দুটো সেমিফাইনালের পর আমাদের ছেলেদের আত্মবিশ্বাস ঠিক কোন জায়গায় রয়েছে।


ফাইনালের আগে চেন্নাইয়ের তুরুপের তাস মেন্ডোজার সঙ্গে গোয়া কোচ জিকো।

ফাইনালেও এর কোনও অন্যথা হবে বলে মনে হয় না। আজ ফাইনালে নেমে বিপক্ষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে মরিয়া আমাদের ছেলেরা। আমাদের দল বড় ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতায় ঠাসা। এ রকম একাধিক খেলোয়াড় দলে আছে, যাদের এ রকম বহু ‘বিগ ম্যাচ’ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাদের অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্বের উপর আজ আমাদের যথেষ্ট নির্ভর করতে হবে। পাশাপাশি তরুণদের পারফরম্যান্সের দিকেও তাকিয়ে থাকব।

চেন্নাইয়ানও কম লড়ে ফাইনালে ওঠেনি। আগের কলামেই লিখেছিলাম আটলেটিকো মোটেই উড়িয়ে দেওয়ার মতো দল নয় এবং তারা দ্বিতীয় লেগে ফাইনালে ওঠার জন্য মরিয়া হয়ে উঠবেই। সেটাই করল ওরা। শুরুতেই গোলটা পেয়ে যাওয়ায় ওরা মরিয়াও হয়ে উঠেছিল। ওদের সেই বিপদসীমা পেরোতে না দেওয়াটা চেন্নাইয়ানের অসম্ভব লড়াইয়ের ফল। ফাইনালের জায়গাটা ওদের প্রাপ্য ছিল যে।

আজ ওদের আটকাতে আমাদের কী কী করতে হবে, তার ছক তৈরি হয়ে গিয়েছে আমাদের। আমার যদি ভুল না হয়, তা হলে আজকের ম্যাচটা প্রচন্ড হাড্ডাহাড্ডি হবে। আমাদের এক ইঞ্চিও জমি ছা়ড়া যাবে না। ওদের কাছ থেকে যেমন সমীহ আদায় করতে হবে আমাদের, এলানো, ফিকরুদেরও তেমনই জমি কেড়ে নিতে হবে আমাদের কাছ থেকে।

সবচেয়ে বড় কথা, আজকের ম্যাচের দ্বাদশ ব্যক্তি আমাদের সঙ্গে। ঠিক ধরেছেন, গোয়ার ফুটবলপ্রেমী মানুষগুলোর কথাই বলছি। যারা সারা মরসুম ধরে আমাদের সমানে সমর্থন জুগিয়ে গিয়েছে। আজ আরও এক বার ওদের সেই সমর্থন চাই। এসো গোয়া, আজ মাঠে এসো। আমাদের জন্য গলা ফাটাও। মাঠে না এলেও যে যেখানে আছ, সেখানে থেকেই আমাদের সাপোর্ট করো।

শেষ বাঁশিটা বাজার সঙ্গে সঙ্গে যাতে তোমরা উল্লাসে ফেটে পড়তে পারো, সেই দায়িত্ব আমাদের।

তোমাদের স্বপ্ন পূরণ করার দায়িত্ব আমাদের।

—নিজস্ব চিত্র।

আজ আইএসএলে

মুখোমুখি এফসি গোয়া ও চেন্নাইয়ান এফসি ফতোরদা

সন্ধে ৭-০০

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy