Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Yuvraj Singh

বিশ্বকাপে কোহালিদের পরিকল্পনাতেই ছিল গলদ! বিস্ফোরক যুবরাজ

জুলাইয়ে ম্যাঞ্চেস্টারে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে ১৮ রানে হেরেছিল বিরাট কোহালির দল। কিন্তু শুধু সেই ম্যাচেই নয়, বিশ্বকাপ জুড়েই ভারতের পরিকল্পনা আগোছালো ছিল বলে মনে হয়েছে যুবরাজের।

বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেছিল ভারত। ছবি: রয়টার্স।

বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেছিল ভারত। ছবি: রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৪:৫৩
Share: Save:

২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারতের বিদায়ের নেপথ্যে টিম ম্যানেজমেন্টকে তোপ দাগলেন যুবরাজ সিংহ। ভারতের পরিকল্পনাতেই গলদ ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।

জুলাইয়ে ম্যাঞ্চেস্টারে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে ১৮ রানে হেরেছিল বিরাট কোহালির দল। কিন্তু শুধু সেই ম্যাচেই নয়, বিশ্বকাপ জুড়েই ভারতের পরিকল্পনা আগোছালো ছিল বলে মনে হয়েছে যুবরাজের। তিনি বলেছেন, “এ বারের বিশ্বকাপে অম্বাতি রায়ুডুকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। পরিবর্তে নেওয়া হয়েছিল বিজয় শঙ্করকে। যাঁর আবার চোট ছিল। তার পর ঋষভ পন্থকে আনা হল। এদের কারওর বিরুদ্ধেই আমার বলার কিছু নেই। কিন্তু দু’জনে মিলে খেলেছিল মোটে পাঁচ ওয়ান়ডে। এত কম অভিজ্ঞতার কেউ বিশ্বকাপ জেতাবে, এটা তো আশা করাই যায় না।”

এর পর দল পরিচালন সমিতিকে একহাত নিয়ে যুবি বলেছেন, “থিঙ্কট্যাঙ্কের কাজকর্ম নিয়ে আমার প্রশ্ন রয়েছে। দীনেশ কার্তিক পুরো টুর্নামেন্টে খেলল না। হঠাৎই সেমিফাইনালে নামানো হল। আর মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে নামানো হল সাত নম্বরে। সবকিছু তালগোল পাকিয়ে গিয়েছিল। বড় ম্যাচে এমন করা যায় না। তখন ভাবনাচিন্তায় নিশ্চিত থাকতে হয়। দলের চার নম্বর ব্যাটসম্যানের থেকে সবচেয়ে বেশি এসেছে ৪৮ রান। আমার মনে হয়েছে পরিকল্পনার দিক থেকে খুবই দুর্বলতা ছিল। ভাবা হয়েছিল যে রোহিত-বিরাট ভাল ফর্মে রয়েছে, তাতেই হবে। কিন্তু এ ভাবে জেতা যায় না। অস্ট্রেলিয়ার দিকে যদি তাকান, যদি ২০০৩, ২০১১, ২০১৫ বিশ্বকাপের দিকে তাকান, তবে দেখবেন অস্ট্রেলিয়ার সেট ব্যাটসম্যান ছিল। আমার তাই মনে হচ্ছে পরিকল্পনার দিক থেকে দুর্বলতা রয়ে গিয়েছে।”

রায়ুডুকে যে ভাবে বাদ দেওয়া হয়েছিল বিশ্বকাপের আগে, সেটাও মানতে পারছেন না যুবরাজ সিংহ। তিনি বলেছেন, “এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চার নম্বরে খেলানো হচ্ছিল ওকে। এমনকী, নিউজিল্যান্ডে শেষ ম্যাচেও মনে হয় ও ৯০ করেছিল। ম্যান অফ দ্যা ম্যাচও হয়েছিল। ২০০৩ বিশ্বকাপের আগে আমরা প্রস্তুতি ম্যাচেও একই দলে নেমেছি। ভালই অভিজ্ঞতা ছিল ক্রিকেটারদের। আমি আর মহম্মদ কাইফ ৩৫-৪০টা ম্যাচ খেলে ফেলেছিলাম। টপঅর্ডারের অভিজ্ঞতা ছিল বিশাল। মিডল অর্ডারও যথেষ্ট অভিজ্ঞ ছিল।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy