আত্মজীবনী হাতে সাক্ষী মালিক। ছবি: সমাজমাধ্যম।
আট বছর আগে পদক জিতেছিলেন অলিম্পিক্সে। প্রথম মহিলা কুস্তিগির হিসাবে পদক জিতে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন সাক্ষী মালিক। তার পর বয়ে গিয়েছে অনেক জল। তাঁকে দেখা গিয়েছে মহিলা কুস্তিগিরদের উপরে হওয়া নির্যাতনের প্রতিবাদে পথে নামতে, রাজধানীর বুকে প্রতিবাদ করতে। সেই সব ঘটনা নিয়ে সাক্ষী মালিক আত্মজীবনী লিখলেন। তা প্রকাশ হয়েছে সোমবারই। সহ-লেখক সাংবাদিক জোনাথন সেলভারাজ। জাগারনট বুকস থেকে প্রকাশিত হওয়া এই বই পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ই-কমার্স ওয়েবসাইটে। দাম ৭৯৯ টাকা।
অলিম্পিক্সে পদক জিতলেও সাক্ষীকে ভারতবাসী অনেক ভাল করে চেনে তাঁর প্রতিবাদী সত্ত্বার কারণেই। গত বছর দিল্লিতে তাঁর, বিনেশ ফোগাট এবং বজরং পুনিয়ার নেতৃত্বে কুস্তিগিরেরা ধর্নায় বসেছিলেন। তৎকালীন কুস্তিকর্তা ব্রিজভূষণ শরন সিংহের অপসারণ চেয়ে হয়েছিল আন্দোলন। প্রথমে তা কিছু দিন চলার পর বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে কাজের কাজ না হওয়ায় আবার এপ্রিল মাসে তা শুরু হয়। এক মাস ব্যাপী সেই আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন প্রচুর কুস্তিগির এবং সাধারণ মানুষ।
চাপে পড়ে কেন্দ্রীয় সরকার ব্রিজভূষণকে কুস্তি সংস্থার যাবতীয় কাজকর্ম থেকে বিরত করে। একটি পর্যবেক্ষণ কমিটি তৈরি করে যার নেতৃত্বে ছিলেন মেরি কম। কুস্তিগিরেরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে মিছিল করে এগিয়ে যাওয়ার পথে তাঁদের টেনেহিঁচড়ে সরিয়ে দেয় পুলিশ। বজরং, সাক্ষীরা রাজপথে পদক রেখে আসেন। এমনকি হরিদ্বারে গঙ্গাতে পদক বিসর্জনের হুমকিও দেন।
সেই সব ঘটনা উল্লেখ এই বইতে রয়েছেই। তা ছাড়া সাক্ষীর জীবনের অনেক অজানা ঘটনাও রয়েছে, যেখানে তিনি ছোটবেলায় নির্যাতনের শিকার হওয়ায় বর্ণনা দিয়েছেন। তেমনই পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে কুস্তিগির সত্যবর্ত কাদিয়ানকে বিয়ে করার প্রসঙ্গও তুলে এনেছেন। ক্রীড়াবিদদের মধ্যে অন্যতম সাহসী আত্মজীবনী বলে মনে করা হচ্ছে এই বইকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy