ব্রিজভূষণকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অনুরোধ সাক্ষী মালিকের। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
এখনও ভয় কাটেনি সাক্ষী মালিকের। ভারতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতির পদ থেকে ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ পদত্যাগ করার পরও ভয় কাটেনি তাঁর। সাক্ষীর মতে, এখনও সংস্থার দখল ব্রিজভূষণের হাতেই রয়েছে। সেই কারণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী মনসুখ মান্ডবীয়ের কাছে অনুরোধ করেছেন সাক্ষী। ব্রিজভূষণের হাত থেকে ভারতীয় কুস্তিকে বাঁচানোর অনুরোধ করেছেন তিনি।
রিয়ো অলিম্পিক্সে পদকজয়ী সাক্ষী কয়েক মাস আগেই কুস্তি থেকে অবসর নিয়েছেন। তাঁর মতে, ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় তাঁকে ক্রমাগত ভয় দেখানো হয়েছে। এখনও তা চলছে। সেই ভয়েই তিনি কুস্তি ছেড়েছেন। কিন্তু ভয় কাটছে না তাঁর। সাক্ষী বলেন, “গত বছর থেকেই ব্রিজভূষণ ও তাঁর অধীনে থাকা কুস্তি সংস্থা কী ভাবে কুস্তিগিরদের সমস্যায় ফেলেছে তা গোটা দেশ দেখেছে। আমরা প্রতিবাদ করায় হেনস্থা করা হয়েছে। বাধ্য হয়ে আমি কুস্তি ছেড়েছি। তার পরে কেন্দ্রীয় সরকার কুস্তি সংস্থাকে নিলম্বিত করেছে। কিন্তু কুস্তি সংস্থা নিজেদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ও ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখুন।”
সাক্ষীর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার বা আদালতের কোনও নির্দেশ কুস্তি সংস্থা মানছে না। এতে কুস্তিগিরদের সমস্যা হচ্ছে। এখন কুস্তি সংস্থার মাথায় রয়েছেন ব্রিজভূষণ-ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় সিংহ। তিনিও একই কাজ করছেন বলে অভিযোগ সাক্ষীর। তিনি বলেন, “সরকার নিলম্বিত করার পরও কুস্তি সংস্থা কী ভাবে নিজেদের কাজ চালায়? হাই কোর্টও কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু ওরা কোনও নির্দেশই শুনছে না। আদালত যখন প্রশ্ন করছে তখন ওরা কুস্তিগিরদের এগিয়ে দিচ্ছে। ওদের ভবিষ্যতের কথা বলে সময় নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ, আপনার যদি মনে হয় কুস্তি সংস্থার অধীনে মহিলা কুস্তিগিরেরা সুরক্ষিত থাকবে তা হলে ওদের কাজ করতে দিন। নইলে পদক্ষেপ করুন। ভারতীয় কুস্তিকে বাঁচান।”
ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন বিনেশ ফোগাট-সহ কয়েক জন মহিলা কুস্তিগির। তাঁর গ্রেফতারির দাবিতে যন্তর মন্তরে দীর্ঘ দিন আন্দোলন করেছেন তাঁরা। সেই আন্দোলনে ছিলেন সাক্ষী ও কুস্তিগির বজরং পুনিয়া। আন্দোলনের চাপে অবশেষে সরেন ব্রিজভূষণ। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তও করছে দিল্লি পুলিশ। প্যারিস অলিম্পিক্সে ফাইনালের আগে বিনেশের ওজন-বিতর্কে বাতিল হওয়ার ঘটনাতেও ব্রিজভূষণকে নিশানা করেছিলেন সাক্ষীরা। যদিও পাল্টা বিনেশকেই দায়ী করেছিলেন কুস্তি সংস্থার প্রাক্তন সভাপতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy