সেই বিতর্কিত মুহূর্ত।
ফের বিতর্কে ভিডিয়ো অ্যাসিসট্যান্ট রেফারি বা ‘ভার’। সোমবার রাতে পর্তুগাল-ইরান ম্যাচের পরে যা নিয়ে প্রায় তুলকালাম হল সারানস্কে। ইরান শিবির ম্যাচের পরে ক্ষোভে ফেটে পড়ে ‘ভার’ তাদের নিশ্চিত জয় ছিনিয়ে নিয়েছে, এই অভিযোগে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোদেরও অভিযোগ, তাঁদের একটি ন্যায্য পেনাল্টি বাতিল হয় প্রযুক্তির বদান্যতায়। সোমবারের এই ম্যাচের পরে ফুটবল বিশ্বেও বিতর্কের ঝড় ওঠে ‘ভার’-এর ভাল-মন্দ নিয়ে। বেশির ভাগই তুলোধোনা করতে ব্যস্ত ফুটবলে এই নবাগত প্রযুক্তিকে।
ম্যাচের ৮০ মিনিটে বিপক্ষের এক ফুটবলারের মুখে কনুই দিয়ে আঘাত করা সত্ত্বেও রোনাল্ডোকে শুধু হলুদ কার্ড দেখিয়েই ছেড়ে দেন প্যারাগুয়ের রেফারি এনরিকে কাসেরেস। তার আগে ভার-এর সাহায্য নেন তিনি। শেষ মুহূর্তে ভার-এর সাহায্য নিয়ে ইরানকে যে পেনাল্টি দেওয়া হয়, তাতেই ড্র হয় এই ম্যাচ। যার জেরে গ্রুপে দু’নম্বরে থাকায় শেষ ষোলোয় উরুগুয়ের মুখোমুখি হতে হবে রোনাল্ডোদের। যে হ্যান্ডবলের জন্য ওই পেনাল্টি দেওয়া হয় ইরানকে, তা ইচ্ছাকৃত কি না, এই প্রশ্নই উঠছে বারবার। টিভি রিপ্লে দেখে রেফারির মনে হয়, ওটা ইচ্ছাকৃত।
কিন্তু ইরান কোচ কার্লোস কুইরোজের বক্তব্য, সব কিছু পরিচ্ছন্ন হলে রোনাল্ডোদের লিসবনে ফেরার বিমানে তোলার ব্যবস্থা তাঁরা করেই দিতেন সোমবার। প্রাক্তন পর্তুগাল কোচ কুইরোজ তাঁর সাত মিনিটের সাংবাদিক বৈঠকে অন্তত মিনিট দুয়েক কাটিয়ে দেন ‘ভার’-এর মুণ্ডপাত করার জন্য। বলেন, ‘‘এই ম্যাচে একটা দলেরই জেতা উচিত ছিল। সেটা ইরান। কিন্তু তা হল না ওই ভার-এর জন্য।’’
রোনাল্ডোর ওই বিতর্কিত ফাউল নিয়ে ইরান কোচ কুইরোজ বলেন, ‘‘কনুই দিয়ে মুখে মারা মানেই লাল কার্ড। সে মেসি হোক বা রোনাল্ডো। সবার জন্যই একই শাস্তি। পাঁচ জন মিলে টিভির সামনে বসেও দেখতে পেল না রোনাল্ডো কনুই দিয়ে মুখে মারল! এটা বিশ্বাস করা যায় না।’’
৪৪ বছর বয়সি যে রেফারির এই সিদ্ধান্ত নিয়ে এত বিতর্ক, সেই প্যারাগুয়ের ক্যাসেরেসর এটাই প্রথম বিশ্বকাপ। কোপা আমেরিকা বা কোপা লিবার্তেদোরেস-এ নিয়মিত দেখা যায় তাঁকে। গত বছর বিশ্ব ক্লাব কাপ ও অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপেও দেখা বাঁশি মুখে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তাঁর মতো অভিজ্ঞ রেফারির এই ভুল হল কী করে, উঠছে এই প্রশ্ন।
প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক অ্যালান শিয়েরার বিবিসি টিভিতে ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় ভার-কাণ্ড দেখে আর্তনাদ করে ওঠেন। পরে তিনি টুইট করেন ‘‘ধারাভাষ্য দিতে বসে এত চেঁচাইনি কখনও। বলতে চাইছিলাম, ভার ব্যাপারটা আসলে আবর্জনা।’’ আর ইরানকে পেনাল্টি দেওয়া নিয়ে টিভিতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘ওটা যদি ইচ্ছাকৃত হ্যান্ডবল বলে মনে হয় রেফারির, তা হলে বলব, ও একটা পাগল। হাস্যকর সিদ্ধান্ত।’’
ও দিকে মরক্কোর মিডফিল্ডার ইউনেস বেলহান্দা স্পেনের বিরুদ্ধে তাদের ২-২ ড্র নিয়ে মন্তব্য করেন, ‘‘ভার বড় দলকে সাহায্য করার জন্য।’’ স্পেন ১-২ গোলে পিছিয়ে থাকার পরে ভার-এর সাহায্যেই সোমবার ২-২ করে। তাঁর আপত্তি এখানেই। বিশ্বকাপ যে ‘ভার-আক্রান্ত’, তা বোঝাই যাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy