বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানির কোচ ওয়াকিম লো বিশ্বকাপের সময় তাঁর ফুটবলারদের সঙ্গে তাঁদের স্ত্রী-বান্ধবীদের মেলামেশায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। ব্রাজিলের বিশ্বখ্যাত কোচ তিতে কিন্তু নেমার দ্য সিলভা স্যান্টোস জুনিয়রদের ক্ষেত্রে বেশ শিথিল নীতি নিয়েছেন।
তিতের বক্তব্য, বিশ্বকাপের জন্য ব্যাপক খাটাখাটুনির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন ফুটবলাররা। মাঝে মাঝেই তিনি ফুটবলারদের তাই ছুটি দেবেন। তিনি বিশ্বাস করেন, ফুটবলারদের কাছ থেকে সেরাটা পেতে বিশ্রাম খুবই জরুরি। এবং ওই ছুটির দিনগুলোয় ফুটবলাররা তাঁদের স্ত্রী-বান্ধবীদের সঙ্গে মেলামেশা করতে চাইলে তিনি আপত্তি করবেন না। তেরোজোপলিসে ব্রাজিলের শিবির থেকেই তিনি এই নিয়ম চালু করেছেন। ছুটির যে ক’টা দিন এখন পর্যন্ত ফুটবলাররা পেয়েছেন, তার সব ক’টিই নেমার, উইলিয়ানরা তাঁদের প্রিয়জনদের সঙ্গে হইহল্লা করেই কাটিয়েছেন। এখন টটেনহ্যামের শিবিরে একই নিয়ম বহাল। ব্রাজিলের এক সংবাদমাধ্যমে এই খবর ছাপা হয়েছে। খবরের শিরোনাম, ‘ফুটবলারদের মুক্ত করছেন তিতে’।
নেমাররা অবশ্য এখনও খুব বেশি ছুটি পাননি। তবু মেরেকেটে দিন দু’য়েকের ছুটিই তাঁরা চুটিয়ে উপভোগ করেছেন। ব্রাজিল দলের চিকিৎসক রদরিগো লাসমার বলেছেন, ‘‘লো যা করছে তাতে আমার সায় নেই। যৌনতা স্বাভাবিক ব্যাপার। আমাদের দলের বেশির ভাগ ফুটবলারেরই বয়স কম। প্রত্যেকেই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী। আমাদের কোচ মনে করেন, ওদের ভালবাসার সুযোগ দিলে তরতাজা হয়েই মাঠে ফিরবে।’’
তিতে অবশ্য হোটেলে নিজেদের ঘরে স্ত্রী-বান্ধবীদের নিয়ে আসায় নিষেধ করেছেন। ফুটবলাররা বাইরে কোথাও আনন্দ করলে আপত্তি করছেন না। ব্রাজিল দলে নারীসঙ্গের ঘটনা নতুন কিছু না। গ্যারিঞ্চাদের সময় থেকে তা চলে আসছে। একই ভাবে মারিও জাগালোও পেলেদের এ রকম ছুটি দিতেন। ছুটি কাটিয়ে আসার পরে তাঁর সেই বিখ্যাত উক্তি তো কিংবদন্তিতে পরিণত। তিনি বলেছিলেন, ‘‘অনেক হয়েছে, এ বার যাও মাঠে নেমে ম্যাচ জিতে এসো।’’ হতে পারে তিতেও নেমারদের একই কথা বলবেন। আর রাশিয়ায় তাঁরা সত্যিই ম্যাচ এবং কাপ জিতে আসতে পারেন কিনা সেটা এখন দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy