ধাক্কা: অনুশীলনে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ছেন নেমার। মঙ্গলবার। ছবি: রয়টার্স
প্রথম ম্যাচ ড্রয়ের পরে ফের নেমারের চোট-আতঙ্ক ব্রাজিল শিবিরে। মঙ্গলবার সোচিতে ব্রাজিল দলের অনুশীলনে নেমে কিছুক্ষণ পরেই ডান পায়ের গোড়ালিতে ব্যথার জন্য খোঁড়াতে খোঁড়াতে উঠে গেলেন নেমার।
তার পরেই ব্রাজিল সমর্থকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক— তা হলে কি পরবর্তী ম্যাচে কোস্তা রিকার বিরুদ্ধে খেলতে পারবেন না নেমার? সেলেকাও(ব্রাজিলের জাতীয় দলকেই এই নামেই ডেকে থাকেন সমর্থকরা) টিম ম্যানজেমেন্টের তরফে যদিও জানানো হয়েছে, দলের চিকিৎসকরা বিষয়টি দেখছেন। অমূলক চিন্তাগ্রস্ত হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু তাতেও নেমার নিয়ে ব্রাজিল সমর্থকদের আশঙ্কা দূর হচ্ছে না।
ঠিক কী হয়েছিল এ দিন ব্রাজিল অনুশীলনে?
অনুশীলন চলাকালীনই একটি বল নেমারের গোড়ালিতে এসে লেগেছিল। তার পরেই যন্ত্রণায় মাঠেই খোঁড়াতে থাকেন তিনি। এক সময় দু’হাত দিয়ে হতাশায় মুখ চেপে ধরেন ব্রাজিলের এই বিখ্যাত দশ নম্বর। এর কিছু পরেই দলের ফিজিয়োথেরাপিস্ট ব্রুনো মাজ়িয়োত্তির সঙ্গে মাঠ ছাড়তে দেখা যায় নেমারকে। তিনি সোজা চলে যান ড্রেসিংরুমে। ড্রেসিংরুমেই ফিজিয়োথেরাপি চলে তাঁর।
ব্রাজিল দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার জানিয়েছেন, ‘‘সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে নেমারের বিরুদ্ধে প্রচুর ফাউল হয়েছে। সেই চোটের জায়গাগুলোতেই যন্ত্রণা হচ্ছিল। তাই ঝুঁকি না নিয়ে ওকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় দলের ফিজিয়োর কাছে। মঙ্গলবার ও বুধবার সকালে ফিজিয়োথেরাপি চলবে। বুধবার দুপুর থেকে ফের পুরোদমে অনুশীলন করবেন নেমার। তবে এই চোটের সঙ্গে নেমারের অস্ত্রোপচারের কোনও যোগ নেই।’’
সোমবারই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইটে নিজের পায়ের ছবি পোস্ট করে নেমার লিখেছিলেন, ‘‘কঠোর পরিশ্রম করতে হচ্ছে।’’ কিন্তু তার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই ফের পায়ের যন্ত্রণায় কাবু হওয়ায় কোস্তা রিকার বিরুদ্ধে নেমারের খেলা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। তবে এরই মধ্যে নেমারের সমর্থনে ব্রাজিল থেকে ভিডিয়ো বার্তা পাঠিয়েছে তাঁর ছয় বছরের পুত্র দাভিদ লুকা। যেখানে সে বলেছে, ‘‘বাবা, মন খারাপ করবে না। সব ঠিক হয়ে যাবে। পরের ম্যাচে তুমিই জিতবে।’’
এ দিন ব্রাজিল দলের অনুশীলন প্রচারমাধ্যমের সামনে হলেও, বুধবার থেকে রুদ্ধদ্বার অনুশীলন করবে তিতের দল। অনুশীলনের পরে সাংবাদিকদের কাছে এসেছিলেন ফেলিপে কুটিনহো। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘আজ অনুশীলন বাধ্যতামূলক ছিল না। তাই পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি। নেমারের সঙ্গে কথা হয়নি। হয়তো অল্প চোট রয়েছে। সব ডিফেন্ডারই ওকে নিশানা বানাচ্ছে। চোটটা বড় কিছু নয়।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘প্রথম ম্যাচে জিতলে ভাল হত। কিন্তু তা যখন হয়নি, কোস্তা রিকার বিরুদ্ধে জিততেই হবে আমাদের। তাই ম্যাচটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’’
এ দিকে, প্রথম ম্যাচে সুইসদের গোলের সময় মিরান্দাকে ধাক্কা দিয়েছিলেন গোলদাতা স্টিভন জুবের। ব্রাজিল শিবির তাই ফাউল দাবি করে গোল বাতিলের আবেদন জানিয়েছিল গোলের পরেই। তার পরে গ্যাব্রিয়েল জেসুসকেও সুইস ডিফেন্ডার অবৈধ ভাবে বক্সে আটকালে পেনাল্টির দাবি জানিয়েছিলেন মার্সেলোরা। ভিডিয়ো অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি সে দিন কেন কোনও হস্তক্ষেপ করেননি, তা জানতে ফিফার কাছে জানতে চেয়েছে ব্রাজিল ফুটবল সংস্থা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy