কোয়ার্টার ফাইনালে তাঁদের সামনে ব্রাজিল। বেলজিয়াম কোচ রবের্তো মার্তিনেসও মানছেন লড়াইটা খুব কঠিন। তাঁর কথায়, ‘‘এই বিশ্বকাপের সেরা দলের সঙ্গে এ বার আমাদের খেলতে হবে।’’ সঙ্গে অবশ্য ফুটবলপ্রেমীদের প্রতি মার্তিনেসের স্বগতোক্তি, ‘‘বেলজিয়ামের উপরও ভরসা রাখুন।’’
কেন ভরসা রাখতে বলছেন বেলজিয়ামের উপর তাও ব্যাখ্যা করেছেন , ‘‘ব্রাজিল যে সেরা দল তা নিয়ে সংশয় থাকতে পারে না। আমরা জিততে পারি কেউ ভাববে না। এটাই মস্ত সুবিধা আমার ছেলেদের। কারও কোনও চাপ নেই। চাপ না থাকলেই আসল খেলা বেরিয়ে আসে। হয়তো অঘটনও ঘটিয়ে দিতে পারে লুকাকু (রোমেলু), অ্যাজাররা (এডেন)।’’
ভাবনায় ব্রাজিল ম্যাচ অগ্রাধিকার পেলেও জাপানের বিরুদ্ধে নাটকীয় জয় মার্তিনেসকে দিচ্ছে দারুণ তৃপ্তি। ‘‘যখন তুমি পিছিয়ে পড়েছ, তখনই তোমাকে দেখাতে হবে তোমার মনের জোর কতখানি। আর পিছিয়ে পড়েও যদি ম্যাচ বের করতে পারো তা হলে সেটা ওই মনের জোরেরই জয়,’’ বলেছেন বেলজিয়াম কোচ। সঙ্গে অবশ্য উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন জাপানেরও। তাঁর কথা, ‘‘সবার আগে আমাদের ওদের অভিনন্দন জানানোটা কর্তব্য। ওরা একেবারে নিখুঁত ফুটবল খেলেছে। বিশেষ করে প্রতিআক্রমণের সময় তো ভয়ঙ্কর মনে হচ্ছিল জাপানকে।’’
বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে ০-২ পিছিয়ে থেকে এই প্রথম কোনও দল জিতল ৪৮ বছর পরে। মার্তিনেস অবশ্য এই ধরনের তথ্যে চোখ না রেখে সামনের দিকে তাকাতে চান। সামনের দিকে মানে অবশ্যই ব্রাজিল ম্যাচে। ইউরো ২০১৬’তে ওয়েলসের কাছে বেলজিয়াম পরাজিত হলে তড়িঘড়ি মার্তিনেসকে নিয়ে এসে জাতীয় দলের কোচ করে দেয় বেলজিয়াম ফুটবল সংস্থা। এবং টানা বহু দিন অপরাজিত অ্যাজাররা। বিশ্বকাপেও তাঁদের অন্যতম ফেভারিট বলছেন কেউ কেউ। ‘‘আমাদের এত দিন ধরে সফল হওয়ার পিছনে সত্যি কোনও রহস্য নেই. আসলে যে কোনও ম্যাচ খেলতে নামার আগে আমরা প্রচুর হোমওয়ার্ক করি। জাপানকে নিয়েও সেটা করেছিলাম। আমাদের রণনীতিটা ছিল, প্রতিআক্রমণের বদলা প্রতিআক্রমণ। ছেলেরা সেটাই করেছে। করেছে বলেই অতিরিক্ত সময়ে ২-২ স্কোর থেকে আমরা ৩-২ করে দিয়েছি মাত্র ৬ সেকেন্ডের মধ্যে,’’ বলেছেন মার্তিনেস। বেলজিয়ামের এই ঝাঁঝ নিশ্চিত ভাবেই চিন্তায় রাখবে তিতের ব্রাজিলকেও। পাশাপাশি বেলজিয়াম শিবিরের মেজাজটা বেশ ফুরফুরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy