আগ্রাসী: বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে কলম্বিয়ার ভ্যালেন্সিয়াকে হারানোর পথে মেরি কম। শেষ চারে তাঁর সামনে ইউরোপ সেরার চ্যালেঞ্জ। পিটিআই
মহিলাদের বক্সিং বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সাত বার অংশ নিয়ে ছয় বারের চ্যাম্পিয়ন তিনি। ২০০১ সালে কেবল রুপোর পদক নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল তাঁকে। ভারতের সেই কিংবদন্তি বক্সার মেরি কম এ বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে তাঁর অষ্টম পদকও নিশ্চিত করলেন। গড়লেন ইতিহাস। প্রতিযোগিতার তৃতীয় বাছাই মেরি সেমিফাইনালে উঠলেন কলম্বিয়ার ভ্যালেন্সিয়া ভিক্টোরিয়াকে ৫-০ হারিয়ে।
সেমিফাইনালে উঠেও আত্মতুষ্ট নন মেরি। বলছেন, ‘‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে অষ্টম পদক নিশ্চিত হওয়ায় আমি খুশি। কিন্তু এতেই তুষ্ট হলে চলবে না। আমাকে ফাইনালে যেতে হবে। কারণ, এই প্রতিযোগিতা থেকে আরও ভাল ফল করে ফিরতে চাই আমি।’’ শুক্রবার বিরতি। শনিবার সেমিফাইনাল বাউট রয়েছে মেরির। যে ম্যাচে মেরির প্রতিপক্ষ তাঁর বিভাগের দ্বিতীয় বাছাই বুসেনাজ় কাকিরোগ্লু। তুরস্কের এই বক্সার বর্তমানে ইউরোপ সেরা। কোয়ার্টার ফাইনালে তিনি চিনের কাই জ়ংজু-কে হারিয়েছেন।
কোয়ার্টার ফাইনালে রক্ষণ করতে করতে হঠাৎ প্রতি-আক্রমণে গিয়ে জয় ছিনিয়ে আনেন মেরি। যেই বাউটে তাঁর প্রধান অস্ত্র ছিল ‘হুক’। এ ছাড়াও সরাসরি ‘পাঞ্চ’ করেও মেরি ধরাশায়ী করে দেন তাঁর প্রতিপক্ষ ভ্যালেন্সিয়াকে। কিন্তু তার পরেও নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেননি তিনি।
প্রত্যয়ী: সেমিফাইনালে ওঠা চার ভারতীয় বক্সার। (বাঁ দিক থেকে) মঞ্জু রানি, মেরি কম, যমুনা বোড়ো ও লভলিনা বড়গোঁহাই। বৃহস্পতিবার।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে নিজের অষ্টম পদক নিশ্চিত করার সঙ্গে সঙ্গে এ দিন মেরি পিছনে ফেললেন কিউবার পুরুষ বক্সার ফেলিক্স স্যাভনকে। যিনি অতীতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ছ’টি সোনা ও একটি রুপো-সহ সাতটি পদকের মালিক। মেরির কাছে এই মুহূর্তে ছ’টি সোনা ও একটি রুপো রয়েছে। রয়েছে লন্ডন অলিম্পিক্সের ব্রোঞ্জ পদকও। কিন্তু এ বার তিনি নেমেছেন ৫১ কেজি বিভাগে। মেরির এ বারের সাফল্য এই কারণেই উল্লেখযোগ্য।
মেরির (৫১ কেজি) এই সাফল্যের দিনে সেমিফাইনালে গিয়েছেন ভারতের আরও তিন বক্সারও। তাঁরা হলেন মঞ্জু রানি (৪৮ কেজি), যমুনা বোড়ো এবং লভলিনা বড়গোঁহাই (৬৯ কেজি)। প্রথম দু’জন এ বারই প্রথম নেমেছিলেন বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে। তবে লভলিনা নতুন নন। গত বছর বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে নেমে ব্রোঞ্জ পদক নিয়ে ফিরেছিলেন তিনি।
কোয়ার্টার ফাইনালে মঞ্জু রানি হারান প্রতিযোগিতার শীর্ষ বাছাই এবং গত বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ পদকপ্রাপ্ত উত্তর কোরিয়ার বক্সার কিম হায়াং মি-কে। ম্যাচের ফল ৪-১। সেমিফাইনালে রানির প্রতিপক্ষ তাইল্যান্ডের চুথামত রক্ষত।
কোয়ার্টার ফাইনালের অন্য বাউটে অসম রাইফেলসের কর্মী যমুনা ৪-১ ফলে হারান জার্মানির উরসুলা গটলবকে। দশ বছর বয়সে পিতৃহারা যমুনা এক সময়ে মায়ের সঙ্গে বাজারে আনাজ বিক্রি করেও দিন কাটিয়েছেন। কোয়ার্টার ফাইনাল বাউট জিতে এ দিন আবেগে কেঁদে ফেলেন তিনি। সেমিফাইনালে তাঁর প্রতিপক্ষ শীর্ষ বাছাই চিনা তাইপে-র হুয়াং হসিয়াও-ওয়েন।
ষষ্ঠ বাছাই পোলান্ডের ক্যারোলিনা কোজ়েওস্কাকে ৪-১ হারিয়ে সেমিফাইনালে গিয়েছেন লভলিনাও। তাঁর প্রতিপক্ষ চিনের ইয়াং লু। যিনি শীর্ষ বাছাই চেন নিয়েন-চিন-কে কোয়ার্টার ফাইনালে হারিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy